হম্বিতম্বিই সার বীরজিতের, খোয়াইয়ে জমেনি কংগ্রেসের চিটফান্ড আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৫ জুন৷৷ চিটফান্ড ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার নেতৃত্বে শনিবার খোয়াইয়ের

শনিবার খোয়াইয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন কংগ্রেসের৷ ছবি নিজস্ব৷
শনিবার খোয়াইয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন কংগ্রেসের৷ ছবি নিজস্ব৷

জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে৷ হাতেগুনা কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বীরজিৎবাবুর নমঃ নমঃ করে ডেপুটেশন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা হয়েছে৷ কংগ্রেসের এই দুর্দিন নিয়ে এলাকার প্রবীন কংগ্রেস নেতৃত্বরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন৷ ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসের আন্দোলন কর্মসূচী যেন একটি আঞ্চলিক দলের চাইতেও শোচনীয় অবস্থা৷ গোষ্ঠী কোন্দল আর দলের কথিত অনৈতিক কাজকর্মের বহিপ্রকাশ ঘটছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত৷
সারা রাজ্যে প্রায় ১৪২টি চিটফান্ড কর্তৃক প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা আমানকারীদের থেকে লুঠ করেছে৷ সেই সাথে চিঠফান্ড কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের ১৪ লক্ষ আমানতকারীর এই বিপুল অর্থ আদায়ের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি খোয়াই জেলাতেও ঘনধর্ণা ও ডেপুটেশনে সামিল হল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি৷ শনিবার খোয়াই শহরে মিছিল করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার নেতৃত্বে একটি মিছিল খোয়াই জেলা শাসকের কার্য্যলয়ের সামনে এসে মিলিত হয়৷ সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল খোয়াই জেলা শাসক অপূর্ব রায়ের নিকট ডেপুটেশনের প্রতিলিপি প্রদান করেন৷ এদিকে জেলা শাসকের অফিস কার্য্যলয়ের সামনেই চলতে থাকে গনধর্ণা৷ এদিনের মিছিল, গনধর্ণা ও ডেপুটেশনে সামিল হন খোয়াই ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ও সম্পাদক সহ অন্যান্য কং-নেতা ও কর্মীরাও৷ গনধর্ণা থেকে আওয়াজ উঠে প্রতিটি জেলা শাসকের এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল৷ কিন্তু রাজ্যে এত বিরাট অঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারী ঘটে গেলেও জেলা শাসকরা কেন উদ্যোগ নেয়নি৷ আগামী দিনে চিটফান্ড ইস্যুতে মুখ্য সচিবের অফিস, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কররা ডাক দিলেন কং-নেতৃত্বরা৷