আগরতলা, ১২ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনায় মৃত্যুর মিছিল থামতে না চাইলেও দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯ জনের করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় করোনা আক্রান্তে লাগাতর শীর্ষ হারে বৃদ্ধি চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়েছে। তবে, দৈনিক সুস্থতা-র হার কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। কিন্ত, দৈনিক মৃত্যুর ঘটনা ভীষণ উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৯৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ৪২৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। দৈনিক আক্রান্তের হার সামান্য কমে হয়েছে ৪.৭৬ শতাংশ। এদিকে, আরো ৯ জনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা রীতিমত বাড়িয়েই রেখেছে। কারণ, প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ন গোটা রাজ্য। অবশ্য, গত ২৪ ঘন্টায় ৭০৩ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন। তবে চিন্তা এখনও রীতিমত বাড়িয়ে রেখেছে, নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৮৪ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন। তাতে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আবারও সংক্রমণে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৪৯৮৭ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটি-পিসিআর ১৬৭০ এবং রেপিড এন্টিজেনের মাধ্যমে ৭৩২৭ জন মোট ৮৯৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআর ২৩ জন এবং রেপিড এন্টিজেনে ৪০৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪২৮ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে।
তবে, সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৭০৩ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪৯৮৭ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৫৮৫২১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫২৮৬১ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার হয়েছে ৫.২০ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯০.৪২ শতাংশ। এদিকে মৃতের হার হয়েছে ১.০৪ শতাংশ। নতুন করে ৯ জনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১৮৪ জন, দক্ষিন জেলায় ৩৯ জন, গোমতি জেলায় ২৮ জন, ধলাই জেলায় ৪২ জন, সিপাহীজলা জেলায় ২৯ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৪২ জন, ঊনকোটি জেলায় ২৫ জন এবং খোয়াই জেলায় ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।