কলকাতা, ৩ জুন (হি. স.) : খুচরো দোকান খোলা রাখার সময় বাড়ল এক ঘন্টা। এই সঙ্গে ১৫ই থেকে খুলতে পারে শপিং মল। নবান্ন সভাঘরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বণিকসভার বৈঠকে একথা জানান।
কার্যত লকডাউনে ১২ টা ৩টে পর্যন্ত খুচরো বিক্রির দোকান খোলার ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ দু’টো শিফটে কাজ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। মমতা বলেন, সকাল থেকে অফিসে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। ‘‘সকাল ৮টা থেকে ১২টা এবং ১২টা থেকে ৫টা এই দুই শিফটে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারে।’’ এর আগে তথ্য-প্রযুক্তির কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের একার পক্ষে গোটা রাজ্যে টিকাকরণ সম্ভব নয়। সেই কারণে সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ১.৪ কোটি রাজ্যবাসীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ৬০ থেক ৭০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
রেশন দোকানের কর্মীদের মতো চালকল এবং আটাকলের কর্মীদেরও বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে, জানিয়ে দেন মমতা। এই সঙ্গে শ্রমিকদের পাশাপাশি পরিচারিকাদেরও টিকাকরণের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হুগলিতে চটশিল্প কর্মীদের টিকাকরণে জোর দিতে বলেন। চাঁপদানি, বাঁশবেড়িয়া-সহ চটকলগুলিকে শ্রমিকদের টিকা দিতে বলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে ১৫ জুন থেকে শপিং মল খোলার ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য। পোশাক আশাক এবং খুচরো বিক্রয়ের দোকান সন্ধ্যায় খোলার অনুরোধ করেছিল বণিক সংগঠনের সদস্যরা। মমতা জানান, “সব দোকান সন্ধ্যায় খোলা রাখা যাবে না। সংক্রমণের কথাও মাথায় রাখতে হবে।“ রাজ্যে করোনা রুখতে বিঁধি নিষেধ লাগু করে সুফল মিলেছে। ধীরে ধীরে রাজ্যে কমছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তাই মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য