প্রবীণ সাংবাদিক অনুপ নাগ চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর ৷৷ চলে গেলেন প্রবীণ সাংবাদিক অনুপ নাগ৷ আজ সন্ধ্যারাতে আগরতলায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ গত শনিবার তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে যান রাস্তায়৷ মুমুর্ষ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ তাঁর মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিলতর হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে নিতে হয়৷ সাত দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চলে যান অনুপ নাগ৷ তাঁর সাংবাদিকতার হাতে খড়ি সাপ্তাহিক সমাচার পত্রিকায়৷ এরপর তিনি অনেক দৈনিকেই সাংবাদিকতার কাজ করেছেন৷ তিনি দৈনিক মানুষ, স্যন্দন পত্রিকায় দীর্ঘ সময় যুক্ত ছিলেন৷ ত্রিপুরার প্রথম দৈনিক জাগরণ এ দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার কাজ করেছেন৷ জাগরণ এর সাথে সম্পর্ক তিনি বিচ্ছিন্ন করেননি৷ নিয়মিত যাতায়াত ছিল৷ সম্প্রতি, প্রবীণ চিকিৎসক ডাক্তার হোমচৌধুরীর আকস্মিক প্রয়াণের পর অনুপ নাগ নিজের নামে জাগরণ এর প্রথম পাতায় একটি মর্মস্পর্শী লেখা দিয়েছিলেন৷ সম্ভবত এই লেখাই তাঁর জীবনের শেষ লেখা৷ এই লেখা পড়ে বেশ কয়েকজন প্রবীণ ডাক্তার জাগরণ সম্পাদককে ফোন করে মরমী লেখা ছাপানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন৷
অনুপ নাগ ক’দিন আগেও জাগরণ অফিসে এসে সম্পাদকের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিয়ে গেছেন৷ তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে জাগরণ সম্পাদক গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন৷ প্রয়াত নাগের সহধর্মীনির সাথেও কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছেন৷ জাগরণ সম্পাদক পরিতোষ বিশ্বাস বলেছেন যে, তিনি এক বন্ধুকে হারালেন৷ রাজ্যের সংবাদ জগত হারাল এক অভিভাবকতুল্য প্রবীণ সাংবাদিককে৷ প্রয়াত নাগ সাংবাদিক জীবনে অনেক বেশী বঞ্চনাই পেয়েছেন৷ বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই তিনি সাংবাদিকতার জীবন থেকে কার্য্যত অবসরই নিয়েছিলেন৷ তিনি যাদুকর এ কে নন্দীর সান্নিধ্যে কাজ করেছেন৷ বিভিন্ন স্থানে যাদু প্রদর্শনীতে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতেন৷ মানুষকে আনন্দ দিয়ে তিনি আনন্দ পেতেন৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর৷ তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, কন্যা সহ বহু আত্মীয় পরিজন৷ (প্রয়াত অনুপ নাগের স্মৃতিচারণ করবেন জাগরণ সম্পাদক পরিতোষ বিশ্বাস৷ আগামীকালের সংখ্যায় দ্বিতীয় পাতায় দেখুন৷)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *