গুয়াহাটি, ১৭ ডিসেম্বর, (হি.স.) : গত দুদিনে ব্যাপক বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। অভিশপ্ত শনিবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে রাজ্যের ভিন্ন প্রান্তে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হয়েছে।
জানা গেছে, গোয়ালপাড়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণাইয়ের পাইকান এলাকায় ট্ৰ্যাভেলারের ধাক্কায় মারা গেছেন জনৈক মহিলা। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। দুৰ্ঘটনা সংঘটিত করেই দ্রুতগতিতে পালিয়ে গেছে যাত্রীবাহী ট্র্যাভেলারটি।
এছাড়া, নগাঁও জেলার কচুয়া বগরিতলে বাইক ও টাটা ডিআই-এর মুখোমুখি সংঘৰ্ষে তিন বাইক আরোহী গুরতরভাবে আহত হয়েছেন। তাদের নগাঁও সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের রিয়াজ উদ্দিন, শহিদুল হক এবং ফারুখ আহমেদ বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। আহত দুজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁদের গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের তিনজনের বাড়ি শিমলুগুড়িতে।
এদিকে, নিম্ন অসমের বঙাইগাঁওয়ের বাখলগাঁওয়ে ট্ৰাক ও অটো রিকশার সংঘৰ্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন দুই যাত্রী। দুৰ্ঘটনায় গুরতরভাবে আহত হয়েছেন অন্য এক যাত্রী। দুৰ্ঘটনার দায়ে ট্ৰাক-সহ তার চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত দুজনের নাম ফিলেশ্বর রায় এবং নকুল রায়।
গুয়াহাটির পার্শ্ববর্তী ছয়গাঁওয়ে এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালি বোঝাই এক ট্ৰাকের ধাক্কায় ৰ্ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন জনৈক পথচারী। নিহতের নামধাম এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। ট্ৰাক-সহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
তাছাড়া উজান অসমের ডুমডুমার বরহাপজানের ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে স্কুটি ও টাটা সুমোর মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরতরভাবে আহত হয়েছেন অৰ্ণব শইকিয়া নামের এক ব্যক্তি। তাঁকেও সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে।