নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : ছেলের হাতে দলের ভার সঁপে দেওয়ার পর সনিয়া গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা নিয়ে যাবতীয় অনুমান, জল্পনার অবসান ঘটালেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর তাঁর কী ভূমিকা হবে, প্রশ্ন করা হলে সনিয়া ‘আমার এখন অবসর নেওয়ার সময়’ বলে মন্তব্য করায় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, তবে কি তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিচ্ছেন?
শনিবার রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি পদে অভিষেকের পর সনিয়া-কন্যা প্রিয়ঙ্কা জানিয়ে দিলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর মা উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি থেকেই লড়বেন। রায়বেরিলির এখনকার নির্বাচিত সাংসদ সনিয়াই। শোনা গিয়েছিল, সনিয়া রাজনীতি থেকে ছুটি নিচ্ছেন, প্রিয়ঙ্কা ২০১৯-এর সংসদীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। পাশাপাশি রাহুলকে সাহায্য করতে কংগ্রেসে আরও সক্রিয় হতে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু এদিন প্রিয়ঙ্কা বলেন, আমার ২০১৯-এর ভোটে লড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মা-ই রায়বেরিলি থেকে প্রার্থী হবেন। সনিয়া রেকর্ড ১৯ বছর কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থাকাকালে বিরাট ঝড়-ঝাপটা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়ে এজন্য তাঁকে ‘সবচেয়ে সাহসী’ মহিলাও আখ্যা দেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুল বর্তমানে অমেঠির সাংসদ। উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি সনিয়া, রাহুলই। হিন্দুস্থান সমাচার/ সঞ্জয়
2017-12-16