নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : কংগ্রেস একটি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত চিন্তা প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। কংগ্রেসের কাজের স্টাইল ও ‘দুর্নীতির কায়দা’ যথারীতি একইরকম থাকবে বলে অভিমত তাঁর।
শনিবার সনিয়া গান্ধীর হাত থেকে রাহুল কংগ্রেসের নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে নিয়েই কেন্দ্রের শাসক দল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ওরা আগুন লাগায়, আমরা আগুন নেভাই। মোদী দেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তারপরই বিজেপি মুখপাত্র আসরে নামেন। কংগ্রেসকে নিশানা করে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সমর্থিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডের সাজা হওয়ার উল্লেখ করেন তিনি। নেতৃত্বের বদল হলেও কংগ্রেস একইরকম দুর্নীতি করে যাবে বলে কটাক্ষ করেন সম্বিত।
তিনি বলেন, পরিহাসের ব্যাপার এটাই যে, কংগ্রেস চার বছর ক্ষমতায় নেই, তবুও ওদের দুর্নীতির কাহিনী বেরিয়ে আসছে এখনও, ক্ষমতায় থাকার সময় দুর্নীতির জন্য কারাদণ্ড হচ্ছে। কংগ্রেসের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া, ওদের কর্মকাণ্ডের চরিত্র এ থেকেই পরিষ্কার। সুতরাং নতুন বা পুরানো সভাপতি, যিনিই থাকুন, কংগ্রেসের দুর্নীতি চলতেই থাকবে। তিনি অারও বলেন, কংগ্রেস যখন নেতৃ্ত্বে বদলের কথা বলছে, দেশের মানুষ দেখছে, কীভাবে ওদের দশ বছরের শাসনে ওদের নাকের ডগায় ১০-১৪ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে দেশে।
রাহুলের ‘ওরা আগুন’ লাগায়, মন্তব্য সম্পর্কে সম্বিত বলেন, এটা শালীন নয়। রাস্তায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে, আগুন লাগিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জয় হয় নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্বে দেশে সংস্কার, বদল, পারফরম্যান্সের মন্ত্রে। লোকে তুলনা করে দেখছে, কীভাবে ইউপিএ শাসনে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) ব্যবস্থা না থাকায় গরিব মানুষের পকেটে টাকা যেত না, আর আজ ডিবিটির জন্য গরিব মানুষ যা চান, সরাসরি সেটা তাঁর পকেটে ঢুকছে। ভোটে জয় আসছে লাইনে থাকা শেষ লোকটিও রান্নার গ্যাস পাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত্ যাচ্ছে বলে। আমার বিনীত অনুরোধ, দেশে গণতন্ত্রের মৌলিক চরিত্রকে খাটো করে যেন না দেখা হয়। দেশে উন্নয়ন ঘটছে বলেই গণতন্ত্র এত সজীব, আগে যা হয়নি।
তিনি বলেন, কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার চালানো ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় ৩ বছরের জেল হয়েছে। আমরা সবাই জানি উনি নির্দল বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু যেহেতু বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থনে তাঁর সরকার চলত, কার্যত সেটা হয়ে ১০ জনপথ থেকে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও আহমেদ পটেলের নির্দেশে চলা কংগ্রেসের সরকারেই পরিণত হয়েছিল।