নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর৷৷ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সম্পর্কীয় রাজ্যের ৭৮ টি মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দায়ের করতে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসনে, বিশেষ করে আইন দফতরে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ এবার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি তদন্তভার সিবিআই-এর উপরই বর্তাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ রাজ্য আইন দফতরের এক আধিকারিক বুধবার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার উচচ আদালতের তরফে যে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য আইন দফতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে৷ আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দায়ের করতে হবে৷ বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাতেই রাজ্যের আইনসচিব, অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং রাজ্যের বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চর্চা হয়েছে৷ এদিকে চিটফান্ডে কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ত্রিপুরার উচ্চ আদালত কর্তৃক নিযুক্ত আদালত -বান্ধব আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মণ আজ বার অ্যাসোসিয়েশনে তাঁর কক্ষে বসে জানান, গত ২৬ জুলাই মাসেই আমি প্রধান বিচারপতি জাস্টিস টি ভাইপেই এবং বিচারপতি জাস্টিস শুভাশিস তলাপাত্রের ডিভিশন ব্যাঞ্চকে ৭৮ টি অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলাম৷ কারণ এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট-এর তদন্ত প্রক্রিয়া খুব বেশি দূর এগোয়নি৷ তিনি বলেন, এর পরই উচ্চ আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করে৷ সে অনুযায়ী সিবিআই রাজ্য সরকারের কাছে টানা তিন মাসে বেশ কয়েকবার ৭৮ টি অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়ার সম্পর্কে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেথ৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে তা দেওয়া হয়নি বলে মঙ্গলবার সিবিআই এর কৌসুলি কালিচরণ মিশ্র আদালতকে জানিয়েছেন৷ এর পর আদালতে এই অভিযোগ খন্ডন করেন রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিজন দাস৷ তার পর সিবিআই এর আইনজীবী আদালতে তথ্য পেশ করেন এবং বলেন, শুধুমাত্র তিনটি এফআইআর এর কপি ভিন্ন আর কিছুই দেওয়া হয়নি৷ এর পরই উচ্চ আদালত আগামী ৯ জানুয়ারি মধ্যে রাজ্য সরকারকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হলফনামা দাখিল করতে বলেছে৷ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মণ আরও জানান, সিট এর তদন্তে আমানতকারীদের কোনও আস্থা নেই এবং সিট এর তদন্ত প্রক্রিয়া এই ইস্যুতে এগোচ্ছে না বলে প্রমাণও হয়ে গেছে৷ ফলে সিবিআই তদন্ত ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প থাকছে না৷ আগামী ৯ জানুয়ারিই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷
2017-12-14