শ্রমিক হত্যার ঘটনায় নয়া মোড়, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই খুন আফরাজুল

জয়পুর, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.): রাজস্থানে মালদার শ্রমিক হত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। ধৃত শম্ভুলাল রেগরের দাবিকে সমর্থন করলেন তাঁর তথাকথিত বোন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, আফরাজুলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না তাঁর। ওই ব্যক্তিকে চিনতেনও না তিনি। ফলে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই আফরাজুলকে শম্ভুলাল খুন করতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
আফরাজুল-হত্যা ভিডিওতে শম্ভুলাল রেগর দাবি করেছিলেন, লভ জিহাদ থেকে বোনকে বাঁচাতেই একাজ করেছেন তিনি। নাম প্রকাশ করা যাবে এই শর্তে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে শম্ভুলালের বোন বলেন, ”২০১০ সালে মহম্মদ বাবলু শেখের সঙ্গে মালদার সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম আমি। আমরা প্রায় দু’বছর সেখানে ছিলাম। ২০১৩ সালে আমি রাজস্থানে চলে আসি। শম্ভুলাল আমায় নিয়ে আসেনি। ও মিথ্যা বলছে।”
২০ বছরের ওই তরুণী বর্তমানে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, মালদায় যাওয়ার কয়েকদিন পর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন তাঁর মায়ের থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মালদায় গিয়েছিলেন শম্ভুলাল। তবে শম্ভুলালের সঙ্গে ফেরেননি তিনি। পরে রাজস্থানে নিজেই ফিরে আসেন ওই তরুণী।
তরুণী পুলিশের কাছে বলেছেন, ”আফরাজুলকে তাঁর জন্য মারেনি শম্ভুলাল। আফরাজুলকে আগে থেকে চিনত ওই যুবক। শম্ভুলালের সঙ্গে শ্রমিক হিসাবে কাজ করত আফরাজুল।” মালদা থেকে চলে যাওয়ার পর বাবলু শেখের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি ওই তরুণীর। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে শরীরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন শম্ভুলাল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, লোকজন নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে মালদার লোকটি। তবে তার নাম বোনকে জানাননি শম্ভুলাল। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি|
জেরায় পুলিশের কাছে শম্ভুলাল জানিয়েছে, আফরাজুল তাঁর পরিবারকে খুনে হুমকি দিচ্ছিলেন। বদলা নিতেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন তিনি। ফলে গোটা বিষয়টিতে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। এর পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে রাজস্থান পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *