বাবার স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে সুবিচারের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্ত হলেন প্রাক্তন বিধায়কের পুত্র

দুর্গাপুর, ২ ডিসেম্বর (হি.স.): দখলদারদের হাত থেকে রেয়াত মিলল না খোদ প্রাক্তন বিধায়কের। তাঁর পুকুর দখল করে অবাধে চলছে ভরাট। নোংরা আবর্জনায় মজে গিয়েছে আস্ত পুকুরটা। নির্মলবাংলার অসহায় চিত্রটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানান দিচ্ছে। ভরাট অংশে চলছে গৃহ নির্মান। নজিরবীহিন ঘটনাটি ঘটেছে বুদবুদের দেবশালা গ্রাম। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জেলাশাসক, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দারস্ত হয়েছেন প্রক্তন বিধায়কের পুত্র। সুবিচার জোটেনি বলে অভিযোগ। বুদবুদের দেবশালা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বক্সী। ১৯৬২, ৬৭ ও ৬৯ সালে আউশগ্রামের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভিযোগ মনোরঞ্জনবাবুর গ্রামের বাগদীপাড়ায় দোকান গোড়ে নামে পুকুরটি প্রতিবেশীরা ভরাট করে চলেছে। ৪০১৪ দাগের প্রায় ১৭ শতক পুকুরটি নোংরা আবর্জনায় মজে যেতে বসেছে। তার ওপর অবাধে চলছে ওই ভরাট অংশের একদিকে বসতবাড়ি নির্মান। অন্যদিকে অবাধে মলত্যগ। গোটা পুকুরটি বর্তমানে দুষিত হয়ে গিয়েছে। গত ২০০৮ সালে জীবদ্শায় নানান প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। বর্তমানে প্রাক্তন বিধায়ক বাবার স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে মরিয়া মনোরঞ্জনবাবুর ছেলে ধ্রুবজ্যোতি বক্সী। ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় গ্রামকমিটি থেকে জেলাশাসক এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত জানিয়েছেন। ধ্রুবজ্যোতিবাবু জানান,\” পুকুরটা আমার কাছে খুবই মুল্যবান। বাবার স্মৃতি জড়িয়ে। তাছাড়া ওই পুকুরে মাছ চাষ হত। আশপাশের বাসিন্দারা ওই পুকুরের জলে নিত্যদিনের কাজকর্ম করত। এখন পুকুরপাড়ে শিবু বাগদী নামে এক বাসিন্দা জোরপুর্বক ভরাট করে চলেছে। নোংরা আবর্জনা ফেলছে। প্রতিবাদ করলে উল্টে শাসানি দিচ্ছে।\” তাঁর দাবী,\” পুকুরটি খনন করে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।\” আর প্রশ্ন এখানেই। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জলসঙ্কট ঠেকাতে জল ধরো, জল ভরো প্রকল্প রুপায়ন করেছেন। সেখানে গত ২০০৮ সাল থেকে অভিযোগ জানিয়ে পুকুরটিকে আগের কেন অবস্থায় ফেরানো হল না? রাজ্যজুড়ে নির্মলবাংলা গড়তে যখন এতই তৎপরতা। তখন ওই পুকুরে কেনই বা মলত্যগ রোধ করা সম্ভবপর নয়? তাহলে কি পুকুরভরাটকারীদের পিছনে অদৃশ্য কোন মদত রয়েছে? যারা গোটা পুকুরটি দখল নিতে চায়। প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও জেলা মৎস্য দফতর অভিযুক্তদের তলব করেছিলেন। কিন্তু তারপর আড কোন অগ্রগতি হয়নি। যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত শিবু বাগদী কোন মন্তব্য করতে চায়নি। দেবশাল পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সীর সঙ্গে যোগযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করতে চায়নি। আবার পুর্ব বর্ধমান জেলা মৎস্য আধিকারিক দেবাশীষ পালুই জানান,\” পুকুর ভারাটের দেখভালের বিষয়টি বর্তমানে আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।\”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *