অপহৃত চার ব্যাঙ্ক কর্মী অক্ষত অবস্থায় ফিরলেও মুখ খুলছেন না, সন্দেহের সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর৷৷ এক সপ্তাহের মাথায় ঘরে ফিরে এসেছে অপহৃত চার ব্যাঙ্ক কর্মচারী৷ তবে তাদের অপহরণ কাণ্ডকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের সন্দেহের সৃটি হয়েছে৷ শুক্রবার সকালে অপহৃতরা তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছেন৷ পুলিশি সহায়তায় তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ তবে অপহরণের ঘটনা এবং তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে৷ কারণ তাঁদের জন্য মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল৷ কিন্তু অক্ষত অবস্থায় তাঁরা ফিরে এসেছেন৷ আবার বিনাশর্তে৷ কীভাবে অপহরণকারীরা তাঁদের ছেড়ে দিল এ সব নিয়ে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়৷ সে অনুযায়ী তৈদু থানায় খাসিয়ামঙ্গল এলাকায় মানিকবাজারে অপহৃত ব্যাঙ্ক কর্মীদের পাওয়া যায়৷ অপহৃতদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গল থেকে এনে রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ রাস্তার পাশে তাঁদের ছেড়ে গিয়েছে অপহরণকারীরা৷ সে অনুযায়ী আজ সকালে তাঁদের উদ্ধার করে নিজের নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ তবে এই ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাঁরা চারজনেই সম্পূর্ণ সুস্থ৷ তবে পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে তথ্য জানতে খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে৷
নাটকীয়ভাবে আধিকারিক সহ ব্যাঙ্কের অপহৃত চার কর্মী আজ শুক্রবার সকালে আচমকাই ঘরে ফিরে এসেছেন৷ তবে তাঁরা কাদের দ্বারা অপহৃত হয়েছিলেন এবং কীভাবেই বা মুক্তি পেলেন এ নিয়ে মুখ খুলছেন না৷ ফলে বাড়ছে জল্পনা৷ এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের অপহৃত কর্মীরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন৷ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সহ চার কর্মী অপহৃত হয়েছিলেন৷ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের তৈদু শাখা দফতর থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁরা অপহৃত হয়েছিলেন৷ এর পর ২৫ নভেম্বর দুপুরে অপহৃতদের পরিবারে মুক্তিপণের জন্য ফোন আসার পর সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পুলিশের গোচরে আসে৷ ২৪ নভেম্বর রাত থেকে অপহৃত পরিবারের লোকেরা তাঁদের ঘরে ফিরে না আসায় অজানা আতঙ্কে ভুগছিলেন৷ তৈদু থেকে আগরতলায় আসার পথে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তন্ময় ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যানেজার রঞ্জিত দেবনাথ, করনিক সুজিত দে এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সুব্রত দেববর্মাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ সংশ্লিষ্টদের পরিবারে ফোন করে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে মোট ৫৯ লক্ষ টাকা দাবিও করছিল৷ বিনাশর্তে অক্ষত অবস্থায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সহ চার কর্মী ফিরে এলেও অপহরণকারীদের প্রকৃত পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ৷ পুলিশ চিরুনি তল্লাশি চালালেও এখন পর্যন্ত কোনও সাফল্য লাভ করেনি৷ প্রায় এক দশক পর নতুন করে উগ্রবাদীদের অপহরণের ঘটনা শুরু হওয়ায় রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *