নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ অক্টোবর৷৷ টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জুবথুবো রাজ্যের মানুষ৷ বিভিন্ন নদীতে জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্লাবিত হয়ে বন্যার রূপ নিয়েছে৷ মানুষের বাড়িঘর, রাস্তা ঘাট সবই জলের নিচে৷ এর মধ্যে বিশালগড়ের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ পুর এলাকায় বেশ কিছু ওয়ার্ড জলের নিচে চলে যায়৷ জল থইথই করে শহরের একাংশে৷
যদিও পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে৷ অন্যদিকে জাতীয় সড়কের একটা অংশ জলের নীচে তলিয়ে যাওয়ার জন্য এখন পলি জমাট ধারায় যান বাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে৷ বিশালগড় মটর স্ট্যান্ড এলাকায় এই বিপত্তি দেখা দেয়৷ গোমতি, এবং দক্ষিন ত্রিপুরা ও সোনামুড়া, মেলাঘর থেকে আসা যানবাহন যেমন আগরতলায় আসতে পারেনি, তেমনি আগরতলা থেকে দিনের প্রথমাংশে এই রাস্তায় কোন যান বাহন চলেনি৷ দোকান পাট মটর স্ট্যান্ড ছিল জলের নিচে৷ পরিস্থিতি উন্নত হলেও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হয়েছে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রশাসনের লোকজন৷
বিশালগড় পুর পরিষদের উদ্যোগে তিনটি শরনার্থী শিবির খোলা হয়৷ সোমবার দুটি শিবির থেকে বাড়িঘরে ফিরে গিয়েছে বন্যা দুর্গতরা৷ একটি শিবিরে বেশ কিছু মানুষ এখনো নিরাপত্তার প্রশ্ণে রয়ে গিয়েছে৷ বিশালগড়ের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ণ উঠেছে৷ এ বছর এমনসব স্থানে জল ঝমেছে যেখানে বিগত দিনে জল দেখা যায়নি৷ অন্যদিকে বিশালগড় মটরস্ট্যান্ড এলাকা ও জাতীয় সড়ক জলের নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম৷ শহর আগরতলা সহ শহরতলির নিম্নাঞ্চলগুলি সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক জীবনছন্দে ফিরতে শুরু করেছে৷ শরনার্থী শিবির থেকে বাড়িঘরে গিয়ে কপারে হাত বন্যা দুর্গতদের৷ বহু পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে সর্বশান্ত৷ ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ত্রাণ বন্টনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে৷ উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন পি সি সি সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস এস সি সেলের সম্পাদক বিজয় দাস সহ অন্যান্যরা৷ বীরজিৎ সিনহা’র অভিযোগ, আবাসন ঘর বন্টন থেকে জল নিকাশী ব্যবস্থার করুন দশায় দুর্ভোগ জনগনের৷ ত্রাণ বন্টন সহ ক্ষতিপূরণ সুষ্ঠভাবে প্রদানের জন্য জেলা শাসকের মধ্যস্থতা দাবী করেছেন বীরজিৎ সিনহা৷ রাজনীতির লাভালাভের প্রশ্ণে আদৌ ক্ষতিপ্রস্থরা সরকারী সাহার্য্য পাবে কিনা খুব সঙ্গত কারনেই প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে৷
2017-10-24