আরুষি হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস তলোয়ার দম্পতি

এলাহাবাদ, ১২ অক্টোবর(হিঃস)৷৷ আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলায় বেকসুর খালার পেলেন নূপুর তলোয়ার ও রাজেশ তলোয়ার৷ বৃহস্পতিবার তাঁদের বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ এদিন চাঞ্চল্যকর আরুষি-হেমরাজ হত্যাকান্ডে আরও চাঞ্চল্যকর মোড়৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস দেওয়া হল আরুষির বাবা-মা রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারকে৷ সূত্রের খবর, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই৷ আরুষি হত্যা মামলায় তদন্তে নেমে সিবিআই জানিয়েছে, এই ঘটনায় তলোয়ার দম্পতি জড়িত৷ বাবা-মা মিলে খুন করেছে কন্যা আরুষিকে৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, তলোয়ার দম্পতি খুন করেনি তাদের কন্যাকে৷ ২০০৮ সালে খুন হয় কিশোরী আরুষি৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তলোয়ার দম্পতির বাড়ির পরিচারক হেমরাজও মৃত৷ এরপরেই রহস্য মোড় নেয়৷ প্রশ্ণ ওঠে, আরুষির সহেগ হেমরাজের অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই দুজনকে খুন করেছিলেন তলোয়ার দম্পতি? আরুষি হত্যায় বাবা-মা রাজেশ ও নুপূরের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই৷ পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের৷ তাই বৃহস্পতিবার তাদের বেকসুর খালাস দিল হাইকোর্ট৷ এর আগে আরুষি ও হেমরাজ হত্যা মামলায় সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাজেশ নূপুর তলোয়ার৷ আদালত তাদের যাবজ্জীবনের সাজা   শোনায়৷ নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করে এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় রাজেশ ও নূপুর নির্দোষ৷ তাদের বিরুদ্ধে নিজের মেয়ে আরুষিকে খুনের কোনও প্রমাণ নেই৷ অতএব, সব দায় থেকে মুক্ত তলোয়ার দম্পতি৷ এই রায়ে তীব্র অসন্তোষ্ট সিবিআই৷ তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট আপীল করার কথা ভাবছেন৷ আর কয়েকদিন বাদেই ১৮ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেট করার কথা ছিল তার৷ কিন্তু ২০১৮ সালের ১৫ই মে গভীর রাতে নিজের শোয়ার গরে খুন হয় আরুষি৷ প্রথমে তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ঘটনায় পর থেকেই বেপাত্তা পরিচারক হেমরাজের নাম৷ কিন্তু পরেরদিনই মামলার মোড় ঘুরে যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *