গুয়াহাটি, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : ‘মন কি বাত’-এ অসমের ‘হাতিবন্ধু’ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘মন কি বাত’-এর মতো রেডিও-ভাষণে অসমের এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কি বাত’-ভাষণে অসমের ‘হাতিবন্ধু’ উদ্যোগের প্রশংসা করে এতে হাতি-মানব সংঘাতের মতো চলমান সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
প্ৰসঙ্গত ‘হাতিবন্ধু’ উদ্যোগ মানুষ এবং হাতির মধ্যে উদ্ভূত দ্বন্দ্ব কমানোর লক্ষ্যে একটি প্রাকৃতিক সমাধানসূত্র বের করেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের বলে নগাঁও জেলার চাপানালা রংহাং কারবি গাঁওয়ের সামাজিক সংগঠন ৩০ হেক্টর বেসরকারি জমি জুড়ে ‘ন্যাপিয়ার’ (আফ্রিকারসাব-সাহারান অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল বহুবর্ষজীবী ঘাস যা বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চল জুড়ে ব্যাপকভাবে জন্মায়। এই ঘাস গবাদি পশু তথা নানা প্রজাতির জীবজন্তুকে খাওয়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়) ঘাস রোপণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাপিয়ার’ ঘাস রোপণের ফলে প্রায় আট হাজার মানুষের উপকারে আসছে। এতে মানুষ এবং হাতি উভয়কেই সাহায্য করছে।’ প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে ‘অবিশ্বাস্য বন্ধন’ এবং প্রাণীদের আনুগত্যের বিবরণও তুলে ধরেছেন।
নগাঁও সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘নগাঁও জেলা শ্রীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান। এই অঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক হাতির (বুনো) আবাসস্থল। বেশ কয়েকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সাক্ষী এই জেলা, যেখানে হাতির পাল কৃষকদের ফসল নষ্ট করেছে।’
রেডিও-ভাষণ ‘মন কি বাত’-এ প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী আরও বলেন, ‘গ্রামের কৃষক এবং সাধারণ বাসিন্দারা বহু সমস্যায় পড়েন। কিন্তু তাঁরা হাতির দুর্দশা বুঝতে পেরে ‘হাতিবন্ধু’ উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তাঁরা প্রায় ৮০০ বিঘা অনুর্বর জমিতে একটি উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা করে হাতির জন্য নেপিয়ার ঘাস রোপণ করেছেন।’
আজ তাঁর রেডিও-ভাষণ ‘মন কি বাত’-এ এই উদ্যোগের স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আদরনিয়া শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি তাঁর ‘মন কি বাত’-এ প্ৰদত্ত ভাষণে অসমের হাতিবন্ধু উদ্যোগের কথা বলেছেন। উদ্যোগটি হাতি-মানব সংঘর্ষ কমাতে একটি প্রাকৃতিক সমাধান। বিশ্বের কাছে এই উদ্যোগটি তুলে ধরার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’