পুলিশের মারে আহত যান চালক, অভিযোগ

তেলিয়ামুড়া, ১৪ জানুয়ারি :  সোমবার গভীর রাতে তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাট পৌষ সংক্রান্তি মেলার রাতে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত এক পুলিশ অফিসারের রোশ এবং ক্ষোভের মুখে গুরুতর আহত হলেন এক যান চালক, এমনই অভিযোগ।

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণে দুদিনব্যাপী  মেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যাবস্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। সেই সুবাদে  পূর্ণার্থীরা যাতে স্বাভাবিকভাবে জাতীয় সড়কে চলাফেরা করতে পারে সেইজন্য মেলার দুই প্রান্তে বসানো হয়েছিল পুলিশের ব্যাবস্থাপনায় নো-অ্যান্টি।  ফলে রাস্তার দুই প্রান্তে দূর দুরান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার লরি সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে যায়।

সেই সময় নো-অ্যান্ট্রি তে আটকে পড়া টি আর ০১ এ ০১৬৪৭ নম্বরের গাড়িতে থাকা চালক শেখর বণিকের সাথে তেলিয়ামুড়া থানার এস.আই রামকৃষ্ণ দাস বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।  অভিযোগ, এস.আই রামকৃষ্ণ দাস গাড়ির দরজার মধ্যে আঘাত করে, চালকের কাছে  ঘুষ দেওয়ার দাবি করে। চালক শেখর বনিক ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় তলপেটে প্রচন্ডভাবে লাথি মারে তাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শেখর।  দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে চালক শেখর বণিক’কে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চালক শেখর বণিক’কে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, বিগত কিছু মাস পূর্বে এস.আই রামকৃষ্ণ দাস’কে থানা চত্বরে মদমত্ত অবস্থায় কালী পূজার সময় উশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করার ফলে তেলিয়ামুড়া থানার তৎকালীন ওসি সুব্রত চক্রবর্তী ত্রিপুরা পুলিশ অ্যাক্ট ৯০ ধারায় আটক করেছিল এবং দপ্তরের তদন্ত শেষে সাসপেনশন করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *