ধর্মনগর, ১২ জানুয়ারি : বিএমএস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার সকাল থেকে দুর্ভোগে পারেন সাধারণ যাত্রীরা। বিএমএস এর কর্মবিরতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলে সমস্যায় পড়েন তারা। প্রশাসনের প্রচেষ্টায় বিকেলের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়েছে।
বিএমএস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ধর্মনগরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার দুপুরে ধর্মনগর মোটর স্ট্যান্ড এলাকার বিএমএস উত্তর জেলা কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উভয় দলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় বিএমএস-এর এক কর্মীর হাত ভেঙে যায় এবং এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তর জেলা বিএমএস কর্মীরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়। শনিবার রাতে উভয় দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে শহরে বিএমএস কর্মীরা মাইকিং শুরু করে, যেখানে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ফলে ধর্মনগর শহরের ইরিক্সা, প্রাইভেট এবং বাণিজ্যিক কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি, ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এই পরিস্থিতি সমাধান করতে রবিবার দুপুরে ধর্মনগর থানায় আলোচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা অশোক দত্ত, ধর্মনগর মণ্ডল সভাপতি শ্যামল নাথ, বিএমএস প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট মজদুর মহাসঙ্ঘের উত্তর জেলার কনভেনার অনুপ রুদ্র পাল, অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট মজদুর মহাসঙ্ঘের সভাপতি অসীম দত্ত, এবং ধর্মনগর মহকুমা প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট মজদুর মহাসঙ্ঘের কনভেনার বিরেশ নাথ। প্রশাসনিক স্তর থেকে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার, এবং মহকুমা শাসক।
দীর্ঘ আলোচনার পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হয় এবং বিএমএস প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট মজদুর মহাসঙ্ঘ তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে।
অসীম দত্ত জানান, আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টের কাজে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। ওই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মীমাংসা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এতে শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করেছে।