আগরতলা, ১০ জানুয়ারি : কলেজগুলিতে শিক্ষকের অভাব মোকাবিলায় স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই ৪০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পন্ন হবে। শুক্রবার ত্রিপুরা বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে সিপিএম বিধায়ক অশোক চন্দ্র মিত্রের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক(ডা.) মানিক সাহা।
তাঁর কথায়, আমরা ইতিমধ্যে ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে সহকারী অধ্যাপক পদে ২০১টি পরীক্ষার আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেছি। এর পাশাপাশি, আরও ২০০টি সহকারী অধ্যাপক পদ পূরণের জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তাতে অর্থ দফতরের সম্মতিও মিলেছে। তাই, শীঘ্রই প্রক্রিয়া শুরু হবে, জানান মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের ৩১টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে বর্তমানে ৭২,০০৯ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই কলেজগুলিতে পিজিটি, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং সহকারী প্রফেসর সহ মোট ৭৮৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। ইউজিসি নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতি ৬০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক প্রয়োজন। এই ঘাটতি পূরণে ৭১০ জন অতিথি অধ্যাপককে নিয়োগ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে ১,২৩১ জন শিক্ষক প্রয়োজন,” বলেন তিনি।
এদিকে, বিধায়ক অশোক চন্দ্র মিত্রের অভিযোগ, সরকারি ডিগ্রি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি উচ্চ শিক্ষা দফতরকে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। “আমাদের রাজ্যে যোগ্য প্রার্থীদের অভাব নেই। অনেক প্রার্থী যারা এনইটি, এসএলইটি এবং পিএইচডি করেছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা চাকরি পাবেন,” বলেন মিত্র।
কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ও নতুন শিক্ষা নীতির বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং জানান যে, জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া, তিপ্রা মথার বিধায়ক পাল ধাঙ্গসু ও বিধায়ক পাঠান লাল জামাতিয়া শ্যামাচরণ ত্রিপুরা ও দ্রৌ কুমার রিয়াংয়ের স্মৃতিতে লংতরাই ভ্যালি ও কাঞ্চনপুরের সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলোর নামকরণের দাবি জানান। তারা বলেন, এই দুই রাজনীতিবিদ তাঁদের সম্প্রদায়ের সেবা করেছেন এবং রাজ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন।