নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ অগাস্ট।। রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা গুলিতে উপজাতি জনগন এখনো জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জুম চাষীদের সরকারি সাহায্য সহায়তা বাড়ানোর জন্য জুমিয়া পরিবারগুলো দাবি জানিয়েছে। রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতিদের জীবনযাপনের অন্যতম হল জুম চাষ। জুম চাষ করেই উপজাতিদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী উপজাতি রা জুম চাষের উপর নির্ভর করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন।
সারা বছরই তারা বিভিন্ন ফসল করে থাকে। জুম চাষের মাধ্যমে জুমিয়া পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বর্ষা কালীন সময় তারা জুমের মধ্যে ধান চাষ সহ বিভিন্ন ফসল করে থাকে। জুম চাষের এ ধরনের চিত্র দেখা গেল লংতরাই পাহাড়ে তিলক কুমার রোয়াজা পাড়া এলাকায়। এ এলাকাটি আমবাসা মহকুমাধীন। ওই এলাকার বাসিন্দা নরেন ত্রিপুরা এবছর বাহাত্তর কেজি ধান বীজ জুমে চাষ করেছেন । প্রায় ছোট-বড় তিনটি টিলায় নরেন ত্রিপুরা জুম ক্ষেত করেন।
ধান চাষের পাশাপাশি এই জুমে ভুট্টা কোমড় সহ অন্যান্য ফসল করেন। তিনি জানান ,প্রায় তিন চার বছর ধরে জুম চাষ করে আসছেন। সংসার প্রতিপালনের জন্য এই জুমের ফসলের উপরই উনাকে নির্ভর করতে হয়। পাশাপাশি জানান, জুম চাষ করতে গিয়ে সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা উনারা এখনো পাননি। জুমে উৎপাদিত ফসল কিছুটা বাজারজাতও করেন বলে জানান নরেন ত্রিপুরা।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে জুম চাষ করে তেমন লাভবান নয় জুমিয়ারা। কারণ হিসেবে জানান পূর্বে জুম চাষে উৎপাদিত ফসল উনারা ছাত্রাবাসগুলোতে বিক্রি করে কিছুটা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারতেন। বর্তমানে করোণা পরিস্থিতি চলাকালীন ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই জুমের উৎপাদিত ফসল এখন বিক্রি করতে তাদের খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জুম চাষীদের চাষাবাদে আর্থিক সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন জুম চাষীর। সরকারি সাহায্য পেলে তারা আরও ভালোভাবে করতে পারবেন বলেও জানান।