আগরতলা, ২১ জুন : বেআইনি কাঠ পাচার রোধে এক বড়সড় সাফল্য পেল উত্তর জেলার বন দপ্তর। ধর্মনগর মহকুমার কুর্তি মধ্য রাজনগর এলাকায় কুর্তি থেকে তারাকপুর যাওয়ার মূল সড়কের উপর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে বন দপ্তরের কর্মীরা।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ধর্মনগর মহকুমার বন দপ্তরের যুগ্ম আধিকারিক নবারোন দে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ধর্মনগর মহকুমার রেঞ্জার সুপ্রিয় দেবনাথ, চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিটের ইনচার্জ আশুতোষ মালাকার, লালছড়া ফরেস্ট বিটের ইনচার্জ অভিজিৎ দাস, এবং অন্যান্য বনকর্মীরা।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করে একটি নির্জন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সেগুন কাঠগুলি। অভিযানে প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিভিন্ন সাইজের সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা বলে জানান যুগ্ম আধিকারিক নবারোন দে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অনুমান কাঠগুলো সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে চুরি করে মজুদ করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে আসামে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল কাঠ পাচারকারীদের।
তবে এখনো পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। যদিও বন আইনে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে বন দপ্তর।
বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অবৈধ কাঠ পাচার রুখতে তারা সদা সতর্ক এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।