কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী শ্রমিক, কৃষক, বেকারদের সমস্যা সমাধানে কোন দিশাই নেই: আমরা বাঙালি

আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারী : কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী শ্রমিক, কৃষক, বেকারদের সমস্যা সমাধানে কোন দিশাই নেই। তাই বাজেটের জনস্বার্থের অনুকূলে সংস্কার সাধনের দাবী জানিয়েছে আমরা বাঙালি।

আজ সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা বাঙালি জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারী অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন। এই বাজেটে মধবিত্তদের কর কাঠামোর কিছু সরলীকরণ, কিছু ছাড়, ৩৬টির মতো জীবনদায়ী ওষুধের শুল্ক ছাড় বাদে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী শ্রমিক, কর্ষক, বেকারদের সমস্যা সমাধানে কোন দিশাই নেই।

এদিন আমরা বাঙালি তরফ থেকে আরও জানিয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল ২০২৬ সাল থেকে আমাদের দেশে শুরু হতে যাচ্ছে ষোড়শ অর্থ কমিশনের মেয়াদ। তাই কমিশনকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আগামী ৫ বছরের জন্যে প্ল্যান-ননপ্ল্যান বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় অর্থের জন্যে সুপারিশ লিখিত আকারে জমা দিতে হবে। একারণে অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিবর্গ ত্রিপুরা সফরে এসেছিলেন।

জানা গেছে, বর্তমান রাজ্য সরকার পরবর্তী ৫ বছরের জন্যে অর্থ কমিশনের কাছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা দাবী করেছে। সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী প্রায় সব দলেরই দাবী, কেন্দ্রীয় করের ৫০ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হবে। কর্মচারী বঞ্চনার অবসান সহ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদানের দাবীও ওঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বাঙালী দলের তরফ থেকে অর্থ কমিশনের নিকট দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হল, প্রতি ইঞ্চি কৃষিজমিকে সেচের আওতায় আনতে পারে, রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে সারা বছর উন্নত সার, বীজ, কীটনাশক ঔষধ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারে, কৃষিকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, ব্লকে ব্লকে হিমঘর স্থাপন করে বছরভর কৃষিউৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, ব্লকভিত্তিক উন্নয়ণ পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্প, কৃষি সহায়ক শিল্প স্থাপন করতে হবে।

তাছাড়া, ত্রিপুরাতে কুটির শিল্প ও পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বেকার সমস্যা সমাধান তথা স্বনির্ভর অর্থনীতির ভিত গড়তে অর্থ কমিশনকে প্রয়োজনীয় সব অর্থ বরাদ্দ করা, তদুপরি ত্রিপুরার অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম দুগ্ধ উৎপাদন, হর্টিকালচার, সেরিকালচার, মৎস চাষ প্রকল্প, আয়ুর্বেদ ঔষধ উৎপাদনে সক্ষম ভেষজ উদ্ভিদ চাষ, রাবার শিয়, গ্যাসের উপর ভিত্তি করে পেট্রোক্যামিক্যাল শিল্প ইত্যাদি। এরজন্যে অর্থ কমিশনকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। তৎসঙ্গে চাই উৎপাদক সমবায় (Producer Co-operative) ও ভোক্তা সমবায় (Consumer Co-operative) করে অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণ যা আমরা বাঙালী দলের অর্থনীতি তথা প্রাউট দর্শণের মূল বৈশিষ্ট্য। পরিকল্পনা নেওয়ার প্রশ্নে প্রাউট তত্ত্বের নীতি নির্দেশিকা হল- অর্থনৈতিক পরিকল্পনা উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না, কোন পদ অবলুপ্ত না করে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি দপ্তরের সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *