আগরতলা, ২২ জানুয়ারি: নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলু প্রদর্শনীতে এবারও ত্রিপুরা অংশ নেবে। নয়াদিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এবার ২৬টি ট্যাবলু প্রদর্শিত হবে। ট্যাবলুগুলিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সাংস্কৃতিক পরিক্রমা তুলে ধরা হবে। সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক, আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক, গোয়া, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, আর্থিক পরিষেবা দপ্তর, মধ্যপ্রদেশ, ভূ-বিজ্ঞান (আইএমডি) মন্ত্রক, প্রাণীপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রক, ত্রিপুরা, কর্ণাটক, দাদরা নগর হাবেলি এবং দমন ও দিউ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, চন্ডীগড়, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং সিপিডব্লিউডি ট্যাবলু প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। ক্রমিক নম্বর অনুসারে ত্রিপুরার ট্যাবলু ১৯ নম্বরে থাকবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে এবারের ত্রিপুরার ট্যাবলুর মূল বিষয় হচ্ছে ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। এদিকে লক্ষ্য রেখে এবার ত্রিপুরার ট্যাবলুতে দেখানো হবে খার্চি পূজা তথা রাজন্য আমল থেকে চলে আসা চতুর্দশ দেবদেবীর বন্দনা, আচার-আচরণ ও তার তাৎপর্য। ট্যাবলুটিতে তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত: পরম্পরা ও আধুনিকতার সংমিশ্রন। ট্যাবলু উপস্থাপনায় বাঁশ ভিত্তিক কারুশিল্প, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পারম্পরিক পোষাকে মডেল ও বাঁশের ফ্রেম থাকবে যা হচ্ছে প্রগতির প্রতীক। দ্বিতীয়ত: বাঁশ ও বেতের কারুকার্যের মাধ্যমে চতুর্দশ দেবতাদের উপস্থাপন করা হবে। তৃতীয়ত: ট্যাবলুতে থাকবে হা বুমা (ভূমি মা)-এর পূজা ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি। তাছাড়া পরম্পরাগত বাঁশ ও ফুলের কারুকার্য ও আধুনিক শিল্পকলার নিদর্শন তুলে ধরা হবে। ট্যাবলুতে দেখা যাবে পরম্পরাগত পোষাকে পুরোহিত পূজার্চনা সম্পাদন করছেন। ট্যাবলুতে ত্রিপুরার প্রাচীন আধ্যাত্মিক ভাবধারা তুলে ধরা হবে।