আগরতলা শহরে মোট ৩১.৪৭ একর সরকারী জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে রয়েছে, বিধানসভায় তথ্য

আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি: আগরতলা শহরে মোট ৩১.৪৭ একর সরকারী জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে রয়েছে। আপাতত তাদেরকে উচ্ছেদ করার কোনোও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের। আজ ত্রয়োদশ বিধানসভার দ্বিতীয় দিনে তিপরা মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেবর্বমার তারকা চিহ্ন বিহীন প্রশ্নের লিখিত জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। 

এদিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে সরকারী জমি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা বিষয়ে ত্রিপুরা ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার আইন ১৯৬০ সালের প্রণীত ধারা ১৫ মোতাবেক গ্রহন করা হয়ে থাকে। ওই ধারায় বিনা বিধিসঙ্গত অ অধিকারে কেহ সরকারের কোন জমি দখল করিলে বা করিতে থাকিলে তাকে অনধিকার দখলকারী বলিয়া গণ্য হইবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঐ ভূমি হইতে সরাসরি উৎখাত হইবে। ঐ ভূমির উপরিস্থ দালান বা অন্য নির্মাণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারিত না হইলে সরকার তা বাজেয়াপ্ত এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের আদেশানুযায়ী হস্তান্তরিত হইতে পারিবে। কিন্তু এইরুপ দালান বা অন্য নির্মাণ কার্য্যের বাজেয়াপ্তকরণের আদেশের পরিবর্তে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাহার সম্পূর্ণ বা আংশিক ধবংসের আদেশ দিতে পারবেন।

আরও জানানো হয়েছে, দখলকরীর অর্থদন্ডও হইতে পারে এবং অর্থের পরিমান উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঐ জমির বার্ষিকস্থিত মূল্যায়ন স্থিরীকৃত হবে তার অনধিক ছয়গুন হবে এবং এই অর্থরাশি বকেয়া ভূমি রাজস্ব স্বরূপে আদায়যোগ্য হবে। উপরোক্ত লিখিত অর্থদন্ড দিলে অসংগৃহীত শস্যাদির রক্ষন, সংগ্রহ ও অপসারনের অধিকার অন্যধিকার দখলকরী পাবে। এছাড়াও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য ত্রিপুরা পাবলিক প্রেমিসেস (ইভিকসান অফ আনঅথরাইজড অকোপেন্টস) আইন, ১৯৮৩ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে, যার সাহায্যে সরকারী জমি বে-আইনিভাবে দখলদারদের উচ্ছেদের গুরত্বপূর্ণ সহায়ক। উপরোক্ত ত্রিপুরা পাবলিক প্রেমিসেস ( ইভিকসান অফ আনঅথরাইজড অকোপেন্টস) আইন, ১৯৮৩ মোতাবেক সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা হস্তান্তর করা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *