নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জানুয়ারি:
আমরা যতই আধুনিক হই না কেন চিরাচরিত সংস্কৃতিকে নানান কায়দায় বহন করে চলেছি। এটা বাস্তব এই সময়ের মধ্যে আধুনিকতার ছাপ আমাদের সমাজের সব দিকেই রয়েছে ।কিন্তু তারপরেও চিরাচরিতভাবে ঐতিহ্যকে আমরা সম্মান করি এবং অবশ্যই গুরুত্বসহকারে এগিয়ে নিয়ে চলি।
রবিবার পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির প্রাক্কালে তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর আমতলী এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল দুই যুবক মিলে বুড়ি ঘর তৈরিতে ব্যস্ত ছিল। যুগ যুগ ধরে মকর সংক্রান্তির আবহে বুড়িঘর তৈরি করে বনভোজন করা সহ নানাভাবে আনন্দ করার রেওয়াজ রয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, কালের বিবর্তনে এই প্রথা অনেকটাই বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তবে সবটা যে এখনো বিলুপ্ত হয়নি তার দৃষ্টান্ত কিন্তু আরও একবার উঠে এলো।
এদিন একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে কমলপুরেও। সেখানেও বুড়ির ঘর তৈরি করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠার প্রস্তুতে ব্যস্ত ছিল কচিকাঁচারা। এই ঘর তৈরি করে মকর সংক্রান্তির আবহে সবাই মিলে আনন্দ করবে খাওয়া-দাওয়া করবে এবং পরের দিন ভোরবেলা স্নান করে আগুনের উত্তাপে নিজেদের উষ্ণ করবে। তবে চিরাচরিত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক হিসেবে এই প্রতিবেদন সহ ছবি গুলো নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ এবং কৃষ্ণপুরের আমতলী এলাকার এই প্রতিবেদন হলফ করে দাবী করে আমরা আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতিকে সম্মান করি এবং বহন করার ক্ষমতা রাখি।