আগরতলা, ১০ জানুয়ারি : নতুন বছর ত্রিপুরায় মন্ত্রী ও বিধায়কদের পাশাপাশি বিধানসভার প্রাক্তন সদস্যদের জন্য বিরাট উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে। তাঁদের বেতন-ভাতায় ব্যাপক বৃদ্ধি হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত বিল আজ ত্রিপুরা বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে দ্বিতীয়ার্ধে পেশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেতন-ভাতায় প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির প্রস্তাব সংবলিত একটি বিল আজ রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে। বিলটি বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য ভাতার ব্যাপক বৃদ্ধি প্রস্তাব করছে। একই সঙ্গে, পেনশনের জন্য ন্যূনতম সাড়ে চার বছর কাজের শর্তও বিল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
“বিধায়ক, মন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলনেতা, সরকারী চিফ হুইপ এবং অন্যান্য সদস্যদের বেতন, ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা (ত্রিপুরা) (নবম সংশোধনী) বিল, ২০২৪” শিরোনামের এই বিলটি বেশ কিছু প্রধান ক্ষেত্রে বেতন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
বিলের খসড়া অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এখন থেকে ৯৭,০০০ টাকা বেতন পাবেন, উপ মুখ্যমন্ত্রীর বেতন হবে ৯৬,০০০ টাকা। অন্যান্য মন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলনেতা এবং সরকারী চিফ হুইপের বেতন হবে ৯৫,০০০ টাকা। ডেপুটি স্পিকারের বেতন মন্ত্রীদের থেকে ১,০০০ টাকা কম এবং বিধায়কদের বেতন হবে ৯৩,০০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিনোদন ভাতা ১৩,০০০ টাকা এবং অন্যান্যদের জন্য ১২,০০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালে প্রথম বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি কার্যকর হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ছিল ৫৩,৬৩০ টাকা এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ছিল ৫২,৬৩০ টাকা। অন্যান্য মন্ত্রী, স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতার বেতন ছিল ৫১,৭৮০ টাকা। চিফ হুইপ ৫০,৫১০ টাকা এবং বিধায়কের বেতন ছিল ৪৮,৪২০ টাকা।
নতুন বিলটি বিধানসভার সদস্যদের জন্য ভ্রমণ এবং দৈনিক ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। ভ্রমণ ভাতা প্রতি কিলোমিটার ২৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দৈনিক ভাতা ত্রিপুরার মধ্যে ১,১০০ টাকা এবং ত্রিপুরার বাইরে ১,৫০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পেনশন সংক্রান্ত একটি বড় পরিবর্তনও বিলটিতে রয়েছে। প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন ৩৪,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৬,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পারিবারিক পেনশনও ২৫,০০০ টাকা থেকে ৪৮,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি পেশ করে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, “বেতন, ভাতা ও পেনশনের এই সংশোধনী প্রয়োজনীয়। কারণ মূল্যসূচকের বৃদ্ধি হয়েছে এবং কর্মচারীদের বেতন কাঠামোও উন্নত হয়েছে। এটি কার্যকর হলে প্রায় ১১ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় হবে।”