কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : কয়লা পাচারে বিকাশ মিশ্র মামলার শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়ে গেল। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কীভাবে আসানসোল জেল অভিযুক্তকে হাসপাতালে রাখল, বুধবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার সিবিআইকে বেঞ্চের নির্দেশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনার দিন-তারিখ ধরে একটি সূচি জমা দিতে হবে আদালতকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার। পাশাপাশি আদালত অবমাননার মামলায় এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারও হাজির ছিলেন।
আদালতের বক্তব্য, যদি প্রথাগত চিকিৎসার দরকার না হয়, তাহলে বিকাশকে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। এটা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার শামিল। আদালতের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাব নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এটা তদন্ত বানচাল করার একটা অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
এদিন বিচারপতি বাগচী বলেন, এই ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা যথেষ্ট সন্দেহজনক। আমরা বুঝলাম, বিকাশকে জেরা করা হয়েছে।কিন্তু তাকে তো জেলে পাঠানোর কথা ছিল! অথচ তিনি কী করে হাসপাতালে থাকলেন, সেটাই বুঝতে পারছি না।
আদালতে সিবিআই অফিসার জানান, ৩১ অগস্ট এসএসকেএমের ডাক্তার এবং পরের দু’দিন কেন্দ্রীয় হাসপাতালের ডাক্তার বলেন, বিকাশ সুস্থ। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত নির্দেশ দেয়। অথচ, ২ সেপ্টেম্বর জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে মিথ্যে রিপোর্ট দিয়ে বলেছে, বিকাশ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাকে সেখান থেকে সরানো যাবে না।