“হিম্মত থাকলে ঝাড়গ্রামের বীরবাহ হাঁসদার সামনে গিয়ে দাঁড়ান”, শুভেন্দুকে তোপ কুণালের

পূর্ব মেদিনীপুর, ৪ জানুয়ারি (হি. স.) : “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় লোক হচ্ছে না। লোক আনার জন্য জনসভায় আবাস যোজনা ফর্ম ফিলআপ করা হচ্ছে। এতবার দিল্লি যাচ্ছেন। আসানসোলে যাওয়ার সময় হচ্ছে না। হিম্মত থাকলে ঝাড়গ্রামের বীরবাহ হাঁসদার সামনে গিয়ে দাঁড়ান।”

বুধবার অধিকারী গড় কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়াম চা চক্রে অংশ নিয়েছিলেন কুণাল। শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানাকে করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব বলে পূর্ব মেদিনীপুরে আসিনি। নেত্রীর নির্দেশ মতো জনসংযোগ করতে এসেছি।”

কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কাজু শিল্প বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের হেনস্থার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেছেন কুণাল। কয়েকমাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। আরও একটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। একটা সময় এই জেলা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত ছিল। শুভেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, তাঁর মোকাবিলায় কুণালকে সামনে এগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। দায়িত্ব পেয়ে একাধিক কর্মসূচিতে পূর্ব মেদিনীপুরে সক্রিয় কুণাল।

শুভেন্দুবাবুকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমাদের দলে কোনও পর্যবেক্ষক নেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। নির্বাচনে লড়াই করার জন্য আমি এখানে আসিনি। নেত্রীর নির্দেশ মতো এখানকার নেতাদের সমন্বয়ে সাধন করতে এই জেলায় বেশি সময় দিচ্ছি। শুভেন্দু অধিকারী নিজের ওয়ার্ডে জিততে পারে না, সে আবার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে জেতার কথায ভাবছে। গামছারও ধোপা বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *