কলকাতা, ৩০ নভেম্বর (হি. স.) : কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ থাকবে, জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিকে গ্রামে স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনিহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি।
১৮ নভেম্বর নিয়োগপত্র দেওয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ালেন বিচারপতি বসু। ২১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ১৮ নভেম্বর, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এবং কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এদিনও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। ওঠে বাম আমলে প্রাথমিক থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু তা নিয়ে দুর্নীতির অভিসন্ধির অভিযোগে মামলা হয়। বুধবার মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির অধিকার রাজ্যের নেই। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে, তাঁদেরও যেন নিয়োগের অনুমোদন দেয় আদালত। রাজ্য সরকার জানায়, তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে। অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়।
এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরবর্তীতে সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ করা হোক অতিরিক্ত শূন্যপদে, এই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ ছিল নিয়োগ।বুধবার ফের মামলাটি আদালতে ওঠে। নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়াল আদালত।