কলকাতা, ২৫ অক্টোবর (হি.স.) : পুজোর আড়ম্বর, জাঁকজমকতা নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর যুক্তি, বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেল হেফাজতে থাকার কারণেই এবার তাঁর পুজোতেও সেই জৌলুস দেখা যায় নি।
মঙ্গলবার প্রভাত সফরে দিলীপবাবু বলেন, “এই ধরনের অপকর্ম করে সেই টাকা দিয়ে পুজো করা, লোককে খুশি করা, ভগবানের আরাধনা করা এটা খুবই অন্যায়। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার আছে। আমার মনে হয়, সময় এসে গিয়েছে, এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।”
এলাকায় অনুব্রতর পুজো এখন ‘কেষ্ট কালী’ বলে পরিচিত। শোনা যায়, এক সময় তিনি ২০০ ভরির কাছাকাছি গয়না পরাতেন প্রতিমাকে। গত বছর তা প্রায় ৫৭০ ভরি ছিল। কেষ্ট মণ্ডল নিজে সাজাতেন মাকে। কিন্তু এ বছর চিত্রটা পুরো ভিন্ন। কেষ্ট নেই, পুজোতেও সেই জৌলুস নেই। রাজগ্রাম, মুরারই, খয়রাশোল, নানুর, লাভপুর সহ বীরভূমের নানা প্রান্ত থেকে এমনকী বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা থেকেও দর্শনার্থীরা আসতেন এই পুজো দেখতে। তবে পুজোর এই জাঁকজমকতা বাড়ার পেছনে আদতে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি যে আসল কারণ, এমনকি পুজোর আয়োজনে বিপুল অর্থের জোগান যে ঘুরপথে আসত, সে ব্যাপারে জোরালো মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
তাঁর দাবি, “এই ধরনের পুজোপাট রমরমা, পশ্চিমবাংলায় যবে থেকে দুর্নীতি বেড়েছে। সেই সারদার টাকা থেকে আরম্ভ করে কয়লা, গরু সব পাচারের টাকায় পুজোর ধুমধাম হত। সেগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সারদার মালিক জেলে গেলেন। কিছু পুজো বন্ধ হয়ে গেল। বাকি যে দুর্গাপুজো এত ধুমধাম করে, পার্থবাবু করতেন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করতে যেতেন, এবার তিনি যান নি। কেষ্ট বাবুর পুজো এত ধুমধাম করে হতো। ভরি ভরি গয়না চাপিয়ে সেটাও হয়নি।”