মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সুরক্ষা কর্মীরা পেলেন বসার স্থান ও পৃথক শৌচালয়, মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ৬২ জন সুরক্ষা কর্মীর

আগরতলা, ১ অক্টোবর (হি. স.) : মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুরক্ষা কর্মীদের জন্য বসার স্থান এবং শৌচালয় গড়ে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই দয়ালু উদ্যোগে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ৬২ জন সুরক্ষা কর্মী।
প্রসঙ্গত, প্রটোকল মেনে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ শ্রেনীর নিরাপত্তা পান। অতীতেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা সেই নিরাপত্তা পেয়েছেন। মূলত, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা এবং এসকর্ট ব্যবস্থায় প্রচুর সুরক্ষা কর্মী নিয়োজিত থাকেন। তাঁদের ২৪ ঘন্টা সেবারত থাকতে হয়। কিন্ত, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অতীতে কোন মুখ্যমন্ত্রী তেমন আগ্রহ দেখাননি। মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে থাকাকালীন সময়ে তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসকর্ট কর্মীদের নির্দিষ্ট কোন বসার স্থান ছিল না। এমনকি তাঁদের জন্য সচিবালয়ে নির্দিষ্ট শৌচালয়েরও ব্যবস্থা ছিল না। অতীতে তাঁরা বহুবার পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রীদের ওই সমস্যা সমাধানে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্ত, সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা ও এসকর্ট কর্মীরা সচিবালয়ে নির্দিষ্ট বসার স্থান এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তাঁদের আবেদন শুনে সচিবালয়ে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আদেশে সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সুরক্ষা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট বসার স্থান এবং পৃথক শৌচালয় গড়ে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা।
নিরাপত্তা এবং এসকর্ট স্টাফ ৬২ জনে মিলে সম্মিলিত চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, আপনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ, অনেক দিন পর আমাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। বসার জন্য স্থান এবং পৃথক শৌচালয়ের ব্যবস্থা করার জন্য বিগত সরকারের কাছেও দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্ত, আমাদের দাবি তাঁরা শুনেননি। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরও লেখেন, আপনার আদেশে আমাদের জন্য শৌচালয় এবং বসার ব্যবস্থা হয়েছে। তাই, আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *