আগরতলা, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : তাড়াহুড়ো করে নয়, ধীরলয়ে ত্রিপুরায় সংগঠন সাজাতে চাইছে তৃণমূল। সত্যিকারের ক্যাডারদের দলে স্থান দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলছুটদের বন্ধুত্বও যাচাই করবে তৃণমূল। আজ বৃহস্পতিবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল কর্মী সুস্মিতা দেব দৃঢ়তার সাথে এ-কথা জানিয়েছেন। সাথে তাঁরা স্বীকার করেছেন, ত্রিপুরায় এখনও সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তবে মানুষের সমর্থন দেখে তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, ত্রিপুরায় শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠবেই। তার জন্য হোটেলে বসে থেকে নয়, মানুষের পাশে গিয়ে সংগঠন সাজানোর অঙ্গীকার নিয়েছে তৃণমূল, প্রত্যয়ের সুর ব্রাত্য বসু ও সুস্মিতার গলায়।
ব্রাত্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১৬৪টি প্রকল্প চলছে। ত্রিপুরায় সরকার গঠন হলে ওই সমস্ত প্রকল্পের সুফল রাজ্যবাসীও পাবেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল ত্রিপুরায় ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সর্বধর্মের সমন্বয়ে নতুন ত্রিপুরা গড়তে চাইছি আমরা। এতে মানুষের বিপুল সমর্থন মিলবে, জোর গলায় দাবি করেন তিনি।
এদিকে, তৃণমূল সদস্য সুস্মিতা দেব দাবি করেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ত্রিপুরায় নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে তৃণমূল। তাঁর কথায়, এবারের তুলনা অতীতের সাথে করা উচিত হবে না। দেব বলেন, তৃণমূল এখন ত্রিপুরায় ক্যাডার তৈরি করতে চাইছে। গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন মানুষদের খোঁজে বের করা হবে। এর জন্য হোটেলে বসে নয়, পায়ে হেঁটে যেতে হবে গ্রামে। তাঁর দাবি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি। তাই, তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না তৃণমূল।
সুস্মিতা এবং ব্রাত্য বসু দুজনেই স্বীকার করেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তাঁরা ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন, ত্রিপুরায় সংগঠন শক্তিশালী করা খুব সহজ নয়। তবু, মানুষের সমর্থন দেখে তাঁদের বিশ্বাস, শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলা অসম্ভব নয়। তাই, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রা করবেন তাঁরা। প্রত্যেক জেলায় সভা করবে তৃণমূল।
পুরনো বন্ধুদের দলে নেওয়ার বিষয়ে ব্রাত্য বসুর সাফ কথা, বন্ধুত্ব যাচাই করতে হবে। কারণ, তাঁরা বন্ধু না শত্রু, তা বুঝতে হবেই। তাঁর দাবি, সংগঠন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেক্ষেত্রে মানুষের ভাবাবেগ বুঝে তবেই এগিয়ে যাবে তৃণমূল। এতে বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েই যাচ্ছে। কারণ, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তৃণমূল সকলকে আহ্বান জানিয়েছে। তবে কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী দিনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে রাজ্যবাসীর।