নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ আগস্ট।। ত্রিপুরার পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বাঁশ পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে জন্মানো বাস ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় চাষ করা হচ্ছে। রাজ্যে উৎপাদিত বাঁশ থেকে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী করা হচ্ছে এবং এসব সামগ্রীর যথেষ্ট কদর রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশ বেতের কুটির শিল্পের কদর রয়েছে রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যে। বাঁশ থেকে বেত সংগ্রহ করে ,আর সেই বেত দিয়ে তৈরি করা যায় রকমারি সামগ্রী। বিভিন্ন সামগ্রী গুলি বাজারজাত যেমন করা যায় তেমনি ব্যবহারেরও উপযোগী হয়। বিজ্ঞানের যুগেও কুটির শিল্পের কদর দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়ারা এক বিন্দু সময়ও নষ্ট করতে নারাজ।
জুম চাষের ফাঁক ফোকরে তারা বাঁশ থেকে বেত তুলছে ,আর সেই বেত দিয়েই রকমারি সামগ্রী তৈরি করছে।এমনই এক বাস্তব চিত্র পরিলক্ষিত হল মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনে নুনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের কর্ণরাম পাড়াতে। এই কর্ণরাম পাড়াতে এক জুমিয়া বাঁশ থেকে বেত সংগ্রহ করে। আর সেই বেত দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে দেখা গেল।কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাজারে ওইসব সামগ্রী গুলি বিক্রি করেন এবং নিজেরাও ব্যবহার করেন। এটাও আয় উপার্জনের একটা মাধ্যম। তবে জুমচাষের ফাঁকে অবসর সময়ে তারা এগুলি তৈরি করে থাকেন।উপজাতীয় সমাজ ব্যবস্থায় ওইসব বাঁশ বেতের সামগ্রী গুলির কদর রয়েছে বেশ। বিজ্ঞানের যুগে বাঁশ-বেতের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।