নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ আগস্ট।। নিশিকুটুম্বদের উৎপাতে অতিষ্ঠ উত্তর জেলার ফুলবাড়ী এলাকার গ্রামবাসী । রাত্রিকালীন পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করতে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নিশিকুটুম্বদের উৎপাতে অতিষ্ঠ উত্তর ত্রিপুরা জেলা কদমতলা ব্লকের ফুলবাড়ী এলাকার জনগণ। মিশ্র জনবসতিপূর্ণ চার হাজার দুইশ মানুষের বসবাস ফুলবাড়ী গ্রামে। তাছাড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিগত প্রায় তিন বছর ধরে গ্রামটিতে চোরের উপদ্রবে এক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্হানীয় চুরাইবাড়ি থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ গ্রামবাসীদের মধ্যে। প্রতিদিন কোনো-না-কোনো গৃহস্থের ঘর, দোকান অথবা বহু মূল্যবান আগর গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল।
অনুরূপ গতকাল রাতেও ফুলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডের জালাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মুকিতের বাড়ি থেকে বহু মূল্যবান দশটি আগর গাছ কেটে নিয়ে যায় চোরের দল।প্রাতঃ ভোরে গৃহস্ত আব্দুল মুকিত ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার বাড়ি থেকে দশটি আগর গাছ কে বা কারা রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে।তাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন গৃহস্থ আব্দুল মুকিত। জানা গেছে গৃহস্ত আব্দুল মুকিত তার মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দামের দশটি আগর গাছ সঞ্চিত করে রেখেছিলেন।তারপর গৃহস্থ আব্দুল মুকিত লিখিত আকারে চুরাইবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ চোর আটক করা তো দূরের কথা, পুলিশ ঘটনাস্থলেই আসেনি বলে অভিযোগ।
এদিকে অনুরূপ ভাবে একই রাতে একই ওয়ার্ডের নিয়াজ উদ্দিনের বাড়ির সামনের দোকান ঘর থেকে প্রায় সত্তর হাজার টাকার তৈরি করা আগরের টুকরো নিয়ে যায় চোরের দল। দোকান ঘরের দরজা ভেঙ্গে আগরের টুকরো সহ বহু যন্ত্রাংশ নিয়ে যায় চোরের দল। এই ঘটনা লিখিত আকারে জানালেও স্থানীয় থানার পুলিশ জানায়, তাদের হাতে নাকি কেইসের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। সেগুলি শেষ করে যাবেন। পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসী।গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে চুরি যাওয়া দুটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চুড়াইবাড়ি থানার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ করে বলেন,বছরে একবারও চুরাইবাড়ি থানার টহলদারি ফুলবাড়ি এলাকায় দেখা যায় না। তাই গোটা ফুলবাড়ি বাসী রাত্রিবেলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন।গ্রামবাসী জোরালো দাবি তুলেছেন,রাতে উক্ত এলাকায় চুরাইবাড়ি থানার দু-তিনবার টহলদারির ব্যবস্থা করার জন্য। এলাকাবাসী চাইছেন আগর গাছ চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। অন্যতায় গ্রামবাসী চোরের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রতিবাদে সামিল হবেন। তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে বলে তারা জানিয়েছেন।