নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ আগস্ট।। গোমতী জেলার উদয়পুরের মহারানী এলাকায় ইটভাট্টায় খেলার ছলে গিয়ে ডান হাত খোয়ালো চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সুরেশ জমাতিয়া। খেলা করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি হাত খোয়া গেল এক বালকের।ঘটনা উদয়পুর মহারানী এলাকায়। জানা গেছে ২৩ শে মে ওই ইটভাট্টার পার্শ্ববর্তী বাড়ির চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সুরেশ জমাতিয়া খেলতে গিয়ে ইট ভাট্টার মধ্যে মাটির স্পূপের উপরে উঠে যায়। সেই মাটির স্তুপ থেকে ১ মিটার উপরে ছিল বিদ্যুৎ এর হাই ভোল্টেজ পরিবাহি তার। বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের মধ্যেই ওই কিশোরের ডান হাত লেগে যায়। এতে ডানহাত ভীষণভাবে বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ওই ছেলেটির বাবা বিষ্ণু জমাতিয়া মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায়ের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন। বিষ্ণু জমাতিয়া কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মহকুমা শাসক আদেশ দেন আগে ছেলেটির উন্নত চিকিৎসার জন্য। আইএলএস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে সেখানে তার ডান হাত কাটা যায়। দুদিনের শুনানি শেষে মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায় ভাট্টার মালিক বিনোদ বিহারী দত্তকে বাচ্চাটির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ছেলেটির শিক্ষা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ওই পরিবারকে দেওয়ার জন্য আদেশ করেন ভাট্টার মালিক পক্ষকে।অন্যদিকে মহকুমাশাসক আরও নির্দেশ করেছেন আগস্টের মধ্যে ওই ইটভাট্টার সমস্ত রকম ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য। নতুবা মহকুমা শাসক পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডকে ওই ইটভাট্টা বন্ধ করার জন্য সাজেস্ট করবেন।বিডিসি নামক মহারানীস্থিত ওই ভাটার যে বৈধ কাগজপত্র এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকার কথা সেগুলি নেই বলে জানান গেছে। ভাট্টার চারদিকে কোন বাউন্ডারি ওয়াল নেই। সে কারণেই বাচ্চারা অনায়াসে ওই ভাটাতে আসা যাওয়া করতে পারে।