Customers cheated on crores of rupees : ব্যাঙ্ক কর্মচারী দ্বারা কোটি টাকার উপর একাধিক ব্যাঙ্ক গ্রাহক প্রতারিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ অগাস্ট।। ব্যাঙ্ক কর্মচারী দ্বারা কোটি টাকার উপর একাধিক ব্যাঙ্ক গ্রাহক প্রতারিত। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে। অবশ্য অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। গ্রাহকদের যাবতীয় টাকা ফিরিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। ধর্মনগর স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার শাখায় কর্মরত ১ কর্মচারী দ্বারা একাধিক ব্যাংক গ্রাহক প্রতারণার শিকার। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ,ধর্মনগর স্টেট ব্যাংক শাখায় রাজস্থানের বাসিন্দা মনোজ কুমার মিনা নামে এক ব্যাংক কর্মচারী ছিল।

সে ধর্মনগর শাখার কর্মরত অবস্থায় গ্রাহকরা ব্যাংকে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা জমা করতে এলে ব্যাঙ্ক কর্মচারী মনোজ কুমার মিনা গ্রাহকদের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে গ্রাহকদের টাকা হাপিজ করে বলে অভিযোগ । এভাবে ধর্মনগর স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার প্রায় দশের অধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার উপর আত্মসাৎ করে ওই মনোজ কুমার মিনা নামে ব্যাংক কর্মচারী । ২০১৯ সালে অভিযুক্ত প্রতারক ব্যাংক কর্মচারী ধর্মনগর শাখা থেকে বদলি হয়ে যায়। এদিকে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা জমা রাখা গ্রাহকরা যখন ব্যাংক থেকে তার জমাকৃত টাকা তুলতে আসে তখন লক্ষ্য করে তাদের একাউন্টের মিউচুয়াল ফান্ডে কোনো টাকা জমা পড়েনি। গ্রাহকরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনলে বর্তমান ধর্মনগর এসবিআই শাখার ম্যানেজার শৈবাল রায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

প্রশাসন কর্তৃক সি আই ডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ দিয়ে তদন্ত শুরু হলে উঠে আসে ব্যাংক কর্মচারী মনোজ কুমার মিনার নাম। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে আনে। বর্তমানে মনোজ কুমার মিনা বিচারাধীন অবস্থায় জেল হেফাজতে রয়েছে । ম্যানেজার শৈবাল রায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মনোজ কুমার মিনা কতৃক প্রতারিত ৯, ১০ জন গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকার উপর অর্থ রাশি ফিরিয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্ক । শুক্রবার ১ বৃদ্ধা একই রকম ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর আগে মিউচুয়াল ফান্ডে জমা রাখা অর্থরাশী তুলতে এসে দেখতে পান ঐ বৃদ্ধাও একই প্রতারণার শিকার। ম্যানেজার শৈবাল বাবু অবশ্য ওই মহিলার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংক ম্যানেজার আরও জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।এখন অব্দি প্রতারিত গ্রাহকদের প্রায় ৯০ শতাংশ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রতারিত বাকি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দেবে। তাতে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রতারিত গ্রাহকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *