তালিবানিদের সমৰ্থনে সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য, এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক, মৌলানা-পুলিশকর্মী সহ অসমে গ্ৰেফতার ১৪

গুয়াহাটি, ২১ আগস্ট (হি.স.) : বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তালিবানিদের সমৰ্থন করে ফেসবুক ও বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে অসম পুলিশের হাতে গ্ৰেফতার হয়েছেন বদরউদ্দিন আজমলের দল এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ফজুল করিম, মৌলানা, পুলিশকর্মী, মেডিক্যালের ছাত্র সহ ১৪ জন। একই ধরনের কাৰ্যে বিদেশে অবস্থানকারী আরও তিনজনেরও তথ্য লাভ করেছে অসম পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এদিকে আইনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট, লাইক ইত্যাদির ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে অসম পুলিশ।

জানা গেছে, ধৃতরা রাজ্যের দশটি জেলার বাসিন্দা। তালিবানদের সমর্থন করে ফেসবুকে আপত্তিকর শব্দগুচ্ছ পোস্ট করার দায়ে ১৪ জনের মধ্যে অন্যতম এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ফজুল করিম (৪৯)। তাঁকে দরং পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দরঙের পুলিশ সুপার সুশান্তবিশ্ব শর্মা ফজুলের গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুলিশ সুপার জানান, মৌলানা ফজুল করিম এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক। এই দলের সভাপতি বদরউদ্দিন আজমল। তাছাড়া তিনি জামাতে উলেমা-ই-হিন্দের সম্পাদকও। তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে আফগানিস্তানে তালিবানিদের ক্ষমতা দখলকে স্বাগত জানিয়ে ভারত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এজন্য তাঁকে আজ আইটির নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।


এদিকে তেজপুর মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস পড়ুয়াও একজন রয়েছেন গ্রেফতারের তালিয়ার। তিনি দক্ষিণ অসমের হাইলাকান্দি জেলার বাসিন্দা। তাকে আজ হাইলাকান্দি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়। তিনি জানান, শোণিতপুরের পুলিশ সুপার ধনঞ্জয় ঘনাবতের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আজ নাদিম আখতার (২৩)-কে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাদিম তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।


এছাড়া, হোজাইয়ের মৌলানা বসিরউদ্দিন লস্কর (৬৫), এবং গোয়ালপাড়ার মৌলানা ইয়াসিন খান (২৬)-কেও একই অভিযোগে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। আরও যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যথাক্রমে কামরূপ গ্ৰামীণ জেলার আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও সাইদুল হক (২৯), কাছাড় জেলার জাবেদ মজুমদার (বয়স অজ্ঞাত), বরপেটার মজিদুল ইসলাম (২৫) ও ফারুক হুসেন খান (৩২), ধুবড়ির সৈয়দ আহমেদ (২৭) ও আরমান হুসেন (২৫), দক্ষিণ শালমারার খন্দকার নুর আলম (৫১), করিমগঞ্জের মুজিবউদ্দিন ও মোৰ্তাজা হুসেন খান (বয়স অজ্ঞাত)।


এদের আজ ভোরের দিকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার বিচারবিভাগীয় আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে রাজ্যের পুলিশ সদর দফতর সূত্রের খবর। ধৃত সকলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *