নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৮ আগস্ট৷৷ কৃষির বিকাশ ও ক’ষকের কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রাজ্যে রূপায়িত হচ্ছে৷ এই কর্মসূচিগুলি রূপায়ণের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে৷ আজ সিপাহীজলা জেলায় কৃষি উপধিকর্তার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন এবং মাশরুম বীজ উৎপাদনকেন্দ্র ও পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিধায়ক সুুভাষ চন্দ্র দাস, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি পিন্টু আইচ প্রমুখ৷
কৃষি উপধিকর্তার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা, কিষাণ সম্মাননিধি যোজনা, পিএম ফসল বীমা যোজনা, জমির মাটির পরীক্ষা করা, জৈব চাষাবাদ প্রভৃতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে আগেও ধান উৎপাদন হত৷ কিন্তু বর্তমান সরকার কৃষকদের কাছ থেকে নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার ব্যবস্থা করেছে৷ ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যকে কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পর্ণ করে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে সারা রাজ্যে প্রায় ৫৩ হাজার আইএওয়াই ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল৷ এবছর সারা রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গৃহহীনদের সবার জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা নিয়েছে৷ করোনা অতিমারীর সময়ে রাজ্যে ৮ লক্ষ পরিবারকে তাদের একাউন্টে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়াও ১ হাজার টাকার খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট দেওয়া হয়েছে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাশরুম চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ প্রতিটি জেলায় মাশরুমের ল্যাবেরটরি খোলা হবে৷ রাজ্যে প্রাণীপালন, মৎস্যচাষ ইত্যাদির মাধ্যমেও মানুষকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, রাজ্যে ক’ষি উৎপাদনে সিপাহীজলা জেলার কৃষকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে৷ কৃষিকে ভিত্তি করেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি ও কৃষকদের উন্নতিতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন৷ রাজ্য সরকারের প্রয়াসের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় রাজ্যের ২ লক্ষ কৃষককে অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে৷ অতিবৃষ্টি, ক্ষরা প্রভ’তিতে ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে ফসলবীমা যোজনা চালু করা হয়েছে৷ কোথাওযেন পতিত জমি পড়ে না থাকে রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে৷
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুুপ্রিয়া দাস দত্ত৷ জেলার সাতটি ব্লক থেকে কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উৎপাদনের জন্য সাতজন কৃষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. দেবপ্রসাদ সরকার৷ উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণিভূষণ জমাতিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুুভাশিষ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷