Distribution of earthen tea cups : প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি, মাটির চায়ের কাপ বিতরণ অন্যতম লক্ষ্য : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগস্ট৷৷ রাজ্যে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সমৃদ্ধি, প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি, মাটির চায়ের কাপ বিতরণকে অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ আজ মঙ্গলবার চা বিক্রেতাদের বিনামূল্যে মাটির চায়ের বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ-কথা দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷

এদিন তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভারত গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রেখেছেন, সেই লক্ষ্যে সুস্থ, স্বচ্ছ ও প্লাস্টিকমুক্ত নির্মল ত্রিপুরা গড়তে আমরা কাজ করছি৷ তাঁর দাবি, পরিবেশ-বান্ধব সমাজ গড়াই আমাদের লক্ষ্য৷ তাই, প্লাস্টিকের পরিবর্তে মাটির পাত্রের ব্যবহারে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে৷


তিনি জানান, পরিবেশ-বান্ধব মাটির পাত্রের ব্যবহার বাড়াতে খাদি গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের উদ্যোগে ও আগরতলা পুর নিগমের সহায়তায় আজ চা বিক্রেতাদের মধ্যে বিনামূল্যে মাটির চায়ের কাপ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তাতে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সমৃদ্ধি হবে ও প্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে পরিবেশ রক্ষা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন৷তাঁর বক্তব্য, বিগত দিনে এমন মানসিকতা তৈরি করা হয়েছিল যে ত্রিপুরার শিল্পীদের তুলনায় বহিঃরাজ্য থেকে আমদানিকৃত পণ্যের গুণমান উন্নত৷ কিন্তু এখন আমরা নতুনভাবে ত্রিপুরার শিল্পীদের দক্ষ কারুকার্যে ও নৈপুণ্যে তৈরি নানান সামগ্রীকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরার প্রয়াস করছি৷


তাঁর দাবি, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ আমাদের অন্যতম গুরুত্বের ক্ষেত্র৷ সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরায় বিকল্প কর্মসংস্থানের মানসিকতা তৈরি হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় তৈরি বাঁশের বোতল দুবাইয়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কাঁঠাল-নির্ভর অর্থনীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ বেড়েছে কৃষকদের রোজগার, মিলছে ফসলের ক্ষতিপূরণ, জোর গলায় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *