নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ আগস্ট।। রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন শপিংমলে দেওয়া হলেও শপিং মল গুলিতে সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে বজায় রাখা হচ্ছে না। তাতে পরিস্থিতি যেকোনো সময় ফের ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শপিং মল গুলিতে গত দু’দিন ধরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান শুরু করেছেন.। সদর মহাকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবারের ন্যায় শনিবারও রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন শপিংমল গুলিতে অভিযান চালানো হয় ।
সামাজিক দূরত্ব কতটা মেনে শপিং মল গুলির ব্যবসা বাণিজ্য চলছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই এ ধরনের অভিযান বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এছাড়াও মাস্ক যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি তাদেরকে জরিমানা করা হয়।সকলে যাতে করোনা বিধি নিষেধ গুলো সঠিক ভাবে পালন করে সেজন্য জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যেই এদিনের অভিযান বলে জানান ডিসিএম রাকেশ চক্রবর্তী।এ ছাড়াও অভিযানে অংশ নেন সদর ডিসিএম পারমিতা মজুমদার ও শ্রীকান্ত চক্রবর্তী প্রমূখ। আগামী দিনগুলিতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য দিনের বেলা করোনাা কারফিউ প্রত্যাহার করে নিলেও করোণা ভাইরাসের সংক্রমণ কিন্তু পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। জনগণ সচেতন না থাকলে ফের যে কোন সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। জনগণের সার্বিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার ও প্রশাসন দিনের বেলা কারফিউ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সারা রাজ্যে বর্তমানে রাত ৭ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণেে না আসলে কারফিউর মেয়াদ আরো বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেকটাই বেড়েছে। তবে এখনো একাংশের মানুষ অসচেতনভাবে বাজার হাট দোকানপাটে চলাফেরা করছে। তাতে অন্যান্য মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সার্বিক স্বার্থেই সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাছ পরিধান করতে প্রশাসনের তরফ থেকে রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।