নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ আগস্ট৷৷ সীমান্ত এলাকায় পেট্রোলিং-এর দায়িত্ব পালনের সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে দু’জন বি এস এফ জওয়ানের নিহত হবার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷
বিরোধী দলনেতা এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন, বি এস এফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের দেওয়া প্রেস রিলিজ থেকে জানা গেছে ধলাই জেলার অন্তর্গত ছাওমনু থানা এলাকায় আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় এই ঘটনা ঘটেছে৷ নিহত জওয়ানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি৷ তাঁদের সহকর্মী এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি৷এই ঘটনা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক৷ সন্ত্রাসবাদী শক্তির পুনর্গঠনের প্রবনতা ও আক্রমণ জনিত কার্যকলাপ প্রতিহত করতে ত্রিপুরা সরকারের দিক থেকে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার৷
এদিকে, সিপিএম রাজ্য কমিটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ ধলাই জেলার লংতরাইভ্যালী মহকুমার গোবিন্দবাড়ী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বি এস এফ জওয়ানদের ওপর বিচ্ছিন্নতাকামী সন্ত্রাসবাদী বাহিনী এন এল এফটি’র আক্রমণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এ আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে৷ এ আক্রমণে ২ জন জওয়ান নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন৷ দুটি আগ্ণেয়াস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা তুলে নিয়ে গেছে৷ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী নিহত দেশপ্রেমিক জওয়ানদের আত্মীয়-পরিজনদের গভীর শোক জানাচ্ছে, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে৷
সি পি আই (এম) বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকায় এন এল এফ টি সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা এবং আরও কিছু যুবককে সন্ত্রাসবাদের বন্ধ্যা পথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য আরক্ষা বাহিনী ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে৷ কিন্তু এ সতর্কতা গুরুত্ব দেয়া হয়নি৷ বরং কয়েকটি টি এস আর ব্যাটেলিয়নকে রাজ্যান্তরে পাঠানো হয়েছে৷
রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী সীমান্ত সুরক্ষিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে৷ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে এবং টি এস আর ব্যাটেলিয়ন ফিরিয়ে আনা, শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাচ্ছে৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ভেঙ্গে দিতে সে দেশের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানাচ্ছে৷