নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুলাই৷৷ রাজ্য মন্ত্রিসভা আজ রাজ্যের সাংবাদিকদের এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে৷ এগুলি হল ‘ত্রিপুরা সাংবাদিক সন্মান পেনশন প্রকল্প ২০২১’ এবং ‘সাংবাদিক পরিবার সুরক্ষা প্রকল্প ২০২১’৷
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সংবাদ জানিয়ে বলেছেন, পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকার ২০১২ সালে পেনশন প্রকল্প তৈরি করেছিল যা এক হাজার টাকা ছিল৷ ত্রিপুরায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পরে, পেনশন প্রকল্পটি ১৭ জুলাই, ২০১৮ এ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়েছিল এবং মাসে ১০,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ বর্তমানে চার জন অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক পেনশন প্রকল্পের আওতায় এই পরিমাণ টাকা পাচ্ছেন৷
মন্ত্রিসভা আজ ত্রিপুরা সাংবাদিক সন্মান পেনশন প্রকল্প ২০২১ এবং সাংবাদিক পরিবর্ধন প্রকল্প ২০২১ দুটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে৷ যেখানে সাংবাদিকরা অবসর গ্রহণের পর ১০,০০০ টাকা প্রতিমাসে পাবেন এবং অন্যদিকে কর্মরত সাংবাদিকের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য ৫,০০০ টাকা প্রতিমাসে পাবেন বলে যোগ করেন তিনি৷
পেনশন পাওয়ার যোগ্য সাংবাদিকরা হলেন- ষাট বছর বয়সের পরে অবসর গ্রহণ, ন্যূনতম দশ বছরের জন্য এক্রিডিটেড সাংবাদিক, ইপিএফ ব্যতীত অন্য কোনও কেন্দ্রীয় বা রাষ্ট্রীয় পেনশন বা ভাতা উপভোগ করতে পারবেন না, ফৌজদারী মামলার কোনও রেকর্ড এবং পরিবারের আয় বছরে তিন লক্ষ টাকার কম হতে হবে৷
পেনশনের যোগ্য সাংবাদিকদের পরিবারকে হতে হবে কমপক্ষে ১০ বছর ত্রিপুরার বাসিন্দা, ন্যূনতম সাত বছরের জন্য অনুমোদিত সাংবাদিক, মিডিয়া সংস্থার দশ বছরের কাজ করার নথি৷ পরিবারেব ১৮ বছরের কম বয়সী সদস্যরাও এই সুবিধা পাবেন৷
এই দুটি প্রকল্পের আবেদনই তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অধিকর্তার কাছে জমা দিতে হবে৷ জেলা শাসদ তদন্ত করবেন এবং তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব, আগরতলা প্রেসক্লাবের সচিব, আইন বিভাগের কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব, বৈদ্যুতিন, ওয়েব এবং প্রিন্ট মিডিয়া এবং তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অধিকর্তাকে নিয়ে গঠিত আট সদস্যের কমিটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷
এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আগরতলা প্রেসক্লাব, জার্নালিস্টস ইউনিয়ন৷ সংগঠগুলির তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সাংবাদিক কল্যাণে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য৷