ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনলেন ছয়জন সদস্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৯ জুন৷৷ রাজ্যে পালাবদলের পর মসনদে বসেছিল বিজিপি আইপিএফটি জোট সরকার৷ কিন্তু মসনদে বসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত গুলিতে পাহাড় সমান দুর্নীতি সংঘটিত হয়ে আসছে৷আর তাতে প্রধান,উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন খুদ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ৷ এবারও পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানের উপর ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনাস্তা আনলেন পঞ্চায়েতের ৬ জন সদস্য ও সদস্যা৷ এই ঘটনা মঙ্গলবারের উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে৷

ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতটি ১১ জন সদস্য ও সদস্যা নিয়ে গঠিত৷ ত্রিস্তরীয় নির্বাচনের পর বিজেপি ৪ টি, কংগ্রেস ৫ টি এবং নির্দল ২ টি আসনে জয় লাভ করেন৷ তারপর নির্বাচিত বিজেপির সদস্যগন নির্দলীয় দুজন সদস্যকে সাথে নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে৷ কিন্তু পঞ্চায়েত দখল করার পর বিজেপি ও নির্দল জুটাধীন ফুলবাড়ী পঞ্চায়েতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি মাথা ঝাড়া দিয়ে বাড়তে থাকে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজিরা বেগম ও উপপ্রধান মিন্টু নাথের দুর্নীতির বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পঞ্চায়েতের অনান্য সদস্য-সদস্যাগণ৷

অবশেষে আজ ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত অফিসারের নিকট ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানের উপর অনাস্থা আনেন ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যা৷এই ৬ জন নির্বাচিত সদস্য ও সদস্যাগন হলেন,মনির উদ্দিন,ছামিনা বিবি, আলতাব হোসেন,আয়াজ আলি,মনোয়ারা খাতুন ও রুবি দেবনাথ৷আজ নির্বাচিত ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যাগন লিখিত আকারে ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত অফিসারের নিকট আবেদন করেন যে, প্রদান ও উপ-প্রধানের অনৈতিক কার্যক্রম স্বজনপোষণ ও ব্যাপক দুর্নীতির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ১৯৯৩ এর ২৩ নং ধারায় প্রদান ও উপ-প্রধানের অপসারণের আর্জি জানান৷ নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি উর্দতন কর্তৃপক্ষ সঠিক তদন্ত ক্রমে আইনানুগ বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক৷এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *