আগরতলা, ২৯ জুন : পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে থানার লকআপ থেকে পালিয়ে গেল মাদক পাচারে ধৃত এক যুবক। বাথরুমে যাবে বলে পুলিশের সামনে থেকেই বাথরুমের জানালা দিয়ে পালিয়ে গেল ফারুক আহমেদ(১৮)। কদমতলা থানায় ওই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার বলেন, চারিদিকে এলার্ট জারি করা হয়েছে। অসম পুলিশের সাথেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন উত্তর জেলার গোয়েন্দা পুলিশ ও কদমতলা থানার পুলিশ বরগোল মহেশপুর সড়কের বরগোল এলাকা থেকে ২২ প্যাকেটে মোট ৪ হাজার ৪ শো নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় বাইশ লক্ষ টাকা। সাথে দুই নেশা কারবারিকে আটক করেছিল পুলিশ। আটককৃত দুই নেশা কারবারির পরিচয় দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ এবং সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশাল শব্দকর। তাদের বিরুদ্ধে কদমতলা থানার পুলিশ এনডিপিএস ৩৭ নম্বর ধারায় একটি মামলা রুজু করেছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি বাংলাদেশ পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল তারা।
২৮ জুন তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে কদমতলা থানার পুলিশ বাঘন গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজমুল হক(৩০)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্ত, আজ থানা থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সকাল ৭ টা ১১ মিনিট নাগাদ আন্তরাষ্ট্রীয় মাদক কারবারীদের মাস্টারমাইন্ড ফারুক আহমেদ পালিয়ে যায়। কদমতলা থানার ওসি জানিয়েছেন, লকআপের সাথে কোন বাথরুম নেই। ফলে, কয়েদিদের বাইরে বাথরুমে যেতে হয়। তিনি বলেন, আজ সকালে ফারুক প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য বাথরুমে গিয়েছিল। তাকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য সাথে সেন্ত্রিও ছিল। কিন্ত, বাথরুমের জানালা দিয়ে ফারুক পালিয়ে গিয়েছে।
ওসি-র কথায়, বাথরুমে গিয়ে অনেকটা সময় কেটে গেলেও ফারুক বেরিয়ে না আসায় সেন্ট্রি ত্রিকোনা সিনহার সন্দেহ হয়। দরজা খুলে তখন তিনি বুঝতে পারেন ওই নেশাকারবারী পালিয়েছে। তাকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী জেলার সমস্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্ত, তার এখনো কোন খোজ পাওয়া যায়নি। এদিকে, অসম পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে।