আগরতলা, ২৯ জুন (হি. স.) : করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মৃতের পরিবারকে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকারের নীতি জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশী এবং বিচারপতি সুভাশীষ তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ ত্রিপুরা সরকারকে সুনির্দিষ্ট চারটি প্রশ্নের উত্তর জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ নিয়ে সুয়োমুটো মামলায় আগামী ৯ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য হয়েছে।
ওই মামলায় গত ২৫ জুন শুনানিতে আদালতের বলেছে, কিছু ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও মৃত্যুর শংসাপত্রে তা স্পষ্ট করে লেখা ছিল না, এমনই সওয়াল হয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিড মৃত্যু সম্পর্কে উল্লেখ না থাকলে মৃতের পরিবারের সদস্যদের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা গ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন হবে বিষয়টি সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিভিসন বেঞ্চের আরও বক্তব্য, আমরা অবগত রয়েছি কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনায় কোভিডে মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্দিষ্ট সুবিধা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এমন আরও পরিকল্পনা আসতে পারে। কিন্ত, মৃত্যুর সংশাপত্রে কোভিডে মৃত্যুর স্পষ্ট উল্লেখ না থাকে, তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ওই সুবিধা আদায়ে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই, আদালত ত্রিপুরা সরকারের কাছে কোভিডে মৃত্যু হলে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি জানতে চেয়েছে।
এজন্য আদালত আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, শুধু করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে, নাকি অন্য রোগ মৃত্যুর কারণ। ত্রিপুরা সরকারের ঘোষণায় করোনায় মৃত্যুতে শংসাপত্র প্রদানের বর্তমান স্থিতি কি রয়েছে। যদি মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের কোন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে থাকে, তা জানাতে বলেছে আদালত। এছাড়া, কোন ব্যক্তি করোনা মুক্ত হওয়ার পর কোন শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হলে ত্রিপুরা সরকারের করণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।