আগরতলা, ২৯ জুন : উন্নয়নের ধারা-কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকল্প নেই, তার প্রামান্য দলিল তুলে ধরলেন দফতরের অধিকর্তা নরেশ বাবু এন। একাধিক ক্ষেত্রে সাফল্য দাবি করে তিনি তথ্য দিয়েছেন।
তিনি জানান, সমস্ত সুবিধাভোগী কেন্দ্রিক প্রকল্পকে একই ছাতার নীচে আনার জন্য তৈরী হয়েছে বি এম এস। লিগ্যাসি অ্যাপ্লিকেশন, বি এম এস এবং ড্যাশবোর্ড এই তিনটি মুখ্য মডিউল রয়েছে এতে। মে মাস পর্যন্ত ত্রিপুরায় ২০টি দপ্তরের ৮,২১,৬৭৪ জন সুবিধাভোগীর তথ্য তাতে আপলোড করা হয়েছে। টাকার লেনদেন এর সুবিধার্থে বি এম এস তথ্য বেনিফিসিয়ারী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিবিটি)কে ট্রেজারির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। মে মাস পর্যন্ত ড্যাশবোর্ডে ৪,১১,৫৮৪ জন সুবিধাভোগীর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
সাথে তিনি যোগ করেন, অনলাইন গভর্নমেন্ট রিসীটস একাউন্টিং সিস্টেম হচ্ছে ত্রিপুরা সরকারের মিশন মোড প্রকল্পের অন্তর্গত একটি ই-গভর্নন্যাস উদ্যোগ। এর মাধ্যমে অনলাইন ও ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে কর/কর বহির্ভূত রাজস্ব সংগ্রহে সুবিধা হয়েছে। ১৬টি ই-ডিস্ট্রিক্ট পরিষেবার সাথেও এটি যুক্ত।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে এবং তার পরিষেবা দিতে Easy Gov নামক স্টার্ট-আপ এর সাথে মিলে জাগ্রত ত্রিপুরা অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরী ও চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গত ২ মার্চ এই অ্যাপ্লিকেশন ও মোবাইল অ্যাপটি চালু করেন। তার মাধ্যমে নাগরিকরা সহজেই কোন প্রকল্প সম্পর্কে তাদের যোগ্যতা এবং কিভাবে তার সুবিধা নেওয়া যায় তা জানাতে পারবেন৷
এদিন তিনি আরো জানান, ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উপর সঠিক নজরদারির লক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর টাস্ক মনিটরিং সিস্টেম বা টি এম এস নামক সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে। টিএমএস-র অন্তর্গত রয়েছে টি এম এস এনড্রয়েড অ্যাপ, বিভিন্ন দপ্তরের টাস্ক অ্যালোকেশন, ড্যাশবোর্ড ভিউ, প্রতি সপ্তাহে সমস্ত দপ্তরকে এস এম এস পাঠানো ইত্যাদি। ত্রিপুরা সরকারের ১০০টি দপ্তর এবং সমস্ত সচিবস্তরীয় ব্যবহারকারীরা এর সাথে যুক্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত মনিটরিং সিস্টেম বা পি এম এস হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি স্তরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের উপর সঠিক নজরদারির জন্য একটি ওয়েব ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন লাইন দপ্তর তাদের ক্ষেত্র অনুসারে নথিভুক্ত বিষয়ের তথ্য এখানে দেখতে পারেন। তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর গ্রামোন্নয়ন (পঞ্চায়েত) দপ্তরের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরী করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তা চালু রয়েছে।
নরেশ বাবু এন আরও জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ত্রিপুরা স্টেট ডাটা সেন্টার দিনরাত কাজ করে চলেছে। নাগরিকদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে অ্যাপ্লিকেশন হোস্টিং পরিচালনা ও স্টোর করার জন্য টি এস ডি সি বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থাকে ডাটা সেন্টার, ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত টি এস ডি সি-তে ৬৬টি অ্যাপ্লিকেশন এবং ১৩৬টি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইট হোস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে এইচআরএমএস, সিটিওএস, সিসিটিএনএস, ই-অফিস, স্প্যারো, ই-পোস্টার, জমি।