অসম-ত্রিপুরা সীমান্তে চাক্কা জ্যাম এলপিজির বুলেট গাড়ির চালকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২১ জুন৷৷ অবশেষে চাক্কা জ্যাম করল এলপিজির বুলেট গাড়ির চালকরা৷অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকায় অবরোধে বসে রাজ্যের উদ্দেশে আসা বুলেট গাড়ির চালকরা৷এলপিজির বুলেট গাড়িগুলি পন্যবাহী গাড়ির সাথে চুরাইবাড়ি পরিবহন দপ্তরে কাটা করে প্রবেশের ক্ষেত্রে ২/৩ দিন সময় লেগে যায়৷


তাতে খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জল না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন৷পূর্বের ন্যায় যেভাবে রাজ্যে প্রবেশ করতেন সেই ভাবেই তাদের প্রবেশের বন্দোবস্ত করে দিক রাজ্য সরকার৷অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি অব্যাহত রাখার হুমকি চালকদের৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত ৯ জুন রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷রাজস্ব মার খাওয়া সহ সিন্ডিকেট রাজ দমনে কঠোর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন বহিঃ রাজ্য থেকে আসা সকল ধরনের গাড়ি গুলি একত্রিত ভাবে কাটা করে রাজ্যে প্রবেশ করবে৷


সেই ক্ষেত্রে অয়েল ট্যাংকার ও এলপিজি বুলেট গাড়িও পণ্যবাহী গাড়ির সাথে কাটা করে রাজ্যে প্রবেশ করা শুরু করে৷ যদিও পূর্বে অয়েল ট্যাংকার ও বুলেট গাড়ি গুলি আলাদাভাবে রাজ্যে প্রবেশ করত৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নির্দেশের পর একত্রিত ভাবে সকল গাড়িগুলি রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে এলপিজির বুলেট গাড়ির চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন৷ অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ বিকেল বেলা চাক্কা জ্যাম করে বসলো এলপিজির বুলেট গাড়ির চালকরা৷ অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকায় শত শত বুলেট গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় চালকরা৷ চালকরা অভিযোগ করে বলেন,পূর্বের চুরাইবাড়ি পরিবহন দপ্তরের গেইটের ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো ছিল৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সফরের পর সকল গাড়িগুলি একত্রিতভাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে এলপিজির বুলেট গাড়ি চালকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷ কেননা উনারা বুলেট গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কমপক্ষেও ২/৩ দিন সময় লাগছে৷

তার উপর রয়েছে করোনা টেস্টিং এর সমস্যা৷ এক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জল না পেয়ে চালকদের অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে৷পাশাপাশি বুলেট গাড়ির চালকরা বলেন,চুরাইবাড়ি চেকপোষ্ট হলো অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি জায়গা৷ সেইক্ষেত্রে চুরাইবাড়িতে প্রবেশ না করে অসম ত্রিপুরা সীমান্তের বিশ নম্বর এলাকার নির্জন স্থানে তাদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করছেন৷ সুতরাং পূর্বের মতো এলপিজির বুলেট গাড়ি গুলি আলাদাভাবে রাজ্যে প্রবেশের বন্দোবস্ত করুক সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও রাজ্য৷অন্যতায় সকল বুলেট গাড়িগুলি রাজ্যে প্রবেশ করবেনা এবং চালকদের চাক্কা জ্যাম অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চালকরা৷ তবে রাজ্য সরকার যদি এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টিপাত না করে,তাহলে আগামী দিনে রাজ্যে জ্বালানি গ্যাসের চরম সংকট যে দেখা দেবে না,তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এখন দেখার বিষয়,রাজ্য সরকার এলপিজি বুলেট গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয় কিনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *