বাতিল পরীক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নম্বর নির্ধারণে পদ্ধতি চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুন৷৷ করোনার প্রকোপে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কিন্ত, ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে শিক্ষা দফতরের৷ তাই, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে৷ আজ শিক্ষা বিষয়ক রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে৷ তাতে, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের নবম ও দশম শ্রেনীর প্রাপ্ত নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অবশ্য, মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা আধিকারিক-কে ওই নম্বর যাচাই করে দিতে হবে৷


পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী আজ সচিবালয়ে শিক্ষা বিষয়ক রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের পৌরোহিত্যে আয়োজিত ওই বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রদানে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে৷


সুপারিশ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য নবম শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, দশম শ্রেণীতে প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় যে বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে দশম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-কে জানাতে হবে৷ তেমনি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য একাদশ শ্রেণী-র বার্ষিক পরীক্ষায় থিওরি-তে প্রাপ্ত নম্বর, দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রি-বোর্ড পরীক্ষায় যে বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর এবং ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে দ্বাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ে আভ্যন্তরিন মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-কে জানাতে হবে৷


সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-রা ওই নম্বর আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সংগ্রহ করে পর্ষদের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের মাধ্যমে ওই নম্বর যাচাই করে তবেই পর্ষদের পাঠানো যাবে৷ পর্ষদ সমস্ত নম্বর বিবেচনা করে পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা দেবে৷ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷ অবশ্য, ওই ফলাফলে কোন পরীক্ষার্থী অসন্তষ্ট হলে, করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ এক্ষেত্রে, ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *