মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক নিষ্ফলা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পুনঃবৈঠক ২১শে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুন৷৷ করোনার প্রকোপে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ তাই, সমাধান খুঁজতে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল শিক্ষা দফতর৷ তাতে বিশিষ্টজনেরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিলেও, আদৌ তা কীভাবে সম্ভব হবে এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ তাই, সাতদিন পর পুনরায় বৈঠকে মিলিত হবেন তাঁরা৷ ওই বৈঠকে পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ এরই মধ্যে অভিভাবকদের মতামত পাওয়া যাবে৷


আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এ-বিষয়ে বলেন, আজকের বৈঠকে ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত হয়েছেন৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী আজ বৈঠকে অংশ নেননি৷ কারণ, তিনি টেলিফোনে জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিয়ে মতামত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি৷ পুনরায় বৈঠক হলে নিশ্চয় অংশ নেব৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় প্রত্যেকেই স্বীকার করেছেন পরীক্ষার কোনও বিকল্প হয় না৷ কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া কীভাবে সম্ভব হবে সে-বিষয়ে সকলেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর কথায়, সিবিএসই পরীক্ষা বাতিল করেছে ঠিকই, কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে৷ তাঁর সাফ কথা, পরীক্ষা নেওয়া কিংবা বাতিল করা মুখ্য নয়৷ মূল্যায়ন করাই প্রধান বলে মনে করছেন সকলেই৷


এদিন তিনি জানান, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এখনও স্বাস্থ্য দফতরের সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি৷ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের সবুজ সংকেত ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হবে না৷ তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি৷ তাই, সাতদিন পর আগামী ২১ জুন পুনরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ ওই বৈঠকে পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মতামতও পেয়ে যাব৷ সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ত্রিপুরা সরকার৷


অবশ্য পরিস্থিতি দেখে অনুমান করা হচ্ছে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না৷ কারণ, পরীক্ষা নেওয়ার চেয়েও প্রাণের মূল্য অধিক বলে মনে করে ত্রিপুরা সরকার৷ সেক্ষেত্রে বিকল্প পথে মূল্যায়নের দিশা খুঁজতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, এমনটাই দাবি সূত্রের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *