নয়াদিল্লি, ১৩ জুন (হি.স.) : অবশেষে স্বীকার করলেন, স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রবিবার নয়াদিল্লির মহারাজা আগ্রাসেন হাসপাতালে ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেডের তৈরি করা অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধনে গিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি স্বীকার করছি তেলের দাম বাড়ছে। তবে পেট্রল এবং ডিজেলের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির দায় করোনাভাইরাস টিকা, রেশনের উপর দায় চাপিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, আজ যে দাম পড়ছে, তার জেরে আমজনতা সমস্যায় পড়ছেন। সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ভারত সরকার হোক বা রাজ্য সরকার – এক বছরে করোনাভাইরাস টিকার জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পিএম কিষান যোজনায় হাজার-হাজার কোটি টাকা সরাসরি দেশের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। কৃষকদের কল্যাণের জন্য ধান এবং গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় দেশে কর্মসংস্থান তৈরি এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। এই কঠিন সময় পয়সা বাঁচিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করছি।’
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আরও বলেন, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর যখন এতই চিন্তা, তখন কেন মহারাষ্ট্রে, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিকে জ্বালানি তেলের দাম কম করতে বলছেন না। মহারাষ্ট্রে তো সবথেকে বেশি কর চাপানো হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দেশে লাগাতার বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। মুম্বইয়ে সেঞ্চুরি করে ফেলেছে এক লিটার পেট্রল। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাজস্থানের শ্রী গঙ্গাধর জেলায় লিটারপিছু ডিজেল ১০০ টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে এক লিটার পেট্রল বিকোচ্ছে ১০৭.২২ টাকায়। দিল্লিতে রেকর্ড করে ফেলেছে পেট্রল। অথচ দামে কোনওভাবে লাগাম পড়ছে না। তা নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে।