আগরতলা, ১১ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় যাত্রা শুরু করল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বপ্রথম ‘কিষান রেল’। বর্তমানে আগরতলা থেকে কাঁঠাল ও আনারস নিয়ে সরাসরি দিল্লী পৌঁছবে এই রেল। আজ ত্রিপুরা থেকে ১ টন কাঠাল এবং ১২ টন আনারস নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে ওই ট্রেন। এ-বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন। এরই দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই কিষান রেল।
আজ আগরতলা রেল স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে ২০ বগির কিষান রেলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে তিনি বলেন, এই রেল চলাচলের ফলে ত্রিপুরার কৃষকরা যেমন আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন তেমনই বহিঃরাজ্যে বাজার বিস্তারেরও সুযোগ গড়ে উঠবে। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-কে রাজ্যের সমগ্র কৃষকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
তাঁর দাবি, এই রেল চালু হাওয়ার ফলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও খরচ অনেক কমবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিমানে কৃষি পণ্য পাঠাতে খরচা হতো প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। আজ তা দিল্লীর ক্ষেত্রে মাত্র ২.২৫ টাকা এবং গুয়াহাটির ক্ষেত্রে ৮৮ পয়সা। তাঁর কথায়, করোনা মহামারীর ফলে এখন শুধু কাঁঠাল এবং আনারস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে তার পাশাপাশি ধান, লেবু, কাজু, ড্রাগনফ্রুট, কাশ্মীরি আপেল কুল-সহ আরও ফসলের ভাল উৎপাদন হচ্ছে। তার চাহিদাও বহিঃরাজ্যে বিপুল রয়েছে। তাই পরবর্তী সময়ে বাকি ফসলের রপ্তানির ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, কৃষক-বান্ধব ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে বদ্ধপরিকর। ত্রিপুরার বাইরেও তাঁদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তাঁর সাফ কথা, এখন ত্রিপুরার কৃষকদের রাজ্যের বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এদিন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক এবং বিধায়িকা মিমি মজুমদার।