নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন৷৷ বিলোনিয়া থানার এএসআই স্বপন সেনের উপর নিগৃহের কান্ডে ধৃত এভিবিপি নেতা৷ নাম উদ্দীপন মজুমদার৷ বাড়ি বিলোনিয়া রামঠাকুর পাড়া৷
পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে বিলোনিয়া ভিতর বাজার থেকে আটক করে থানাতে নিয়ে আসার পর বিলোনিয়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর বিলোনিয়া জেলা দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেয়৷ ঘটনা ঘটে ২০২০ সালে, বিলোনিয়া সুকান্ত নগর পঞ্চায়েতের ড্রপগেইট এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী তথা বিলোনিয়া মন্ডল বিজেপির সহ-সভাপতি কিরন বিশ্বাসের বাড়িতে৷ বিলোনিয়া থানাতে মামলার নম্বর ২১২/২০২০৷ ঘটনায় জানা যায়, কালিপূজা বিসর্জনের রাতে জোরে মাইক বাজিয়ে উদাম নৃত্য চলছিল বাড়িতে৷
সেই অভিযোগ পেয়ে বিলোনিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক টহলরত এ.এস.আই স্বপন সেনকে নির্দেশ দেন ঘটনাটি দেখার, সেই মোতাবেক এ.এস.আই স্বপন সেন সহ কিছু পুলিশ ও টি.এস.আর বাহিনী বিলোনিয়া মন্ডল সহসভাপতি কিরণ বিশ্বাসের বাড়িতে যাওয়ার পরেই ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায়, জোরে মাইক বাজানো বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে৷ অভিযোগ এ.এস.আই স্বপন সেনকে মন্ডল সহ-সভাপতি কিরণ বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকেরা সহ বাড়িতে উপস্থিত কিছু উশৃংখল যুবক হঠাৎ আক্রমণ শুরু করে এ.এস.আই স্বপন সেনকে৷ এই আক্রমণে গুরত্বর আহত হয়ে এ.এস.আই স্বপন সেন প্রথমে বিলোনিয়া হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গোমতী জেলা হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়িতে এসে বিলোনিয়া থানাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে৷
মামলা দায়ের করার পর অবশেষে পুলিশ প্রায় সাত থেকে আট মাস পরে একজনকে আটক করলেও, অন্য অভিযুক্তদের আটক করতে সাহস দেখাতে পারছে না৷ বড় মাপের নেতা হওয়ার সুবাদে৷ আইনের রক্ষকরা যেখানে নিরাপত্তা নেই , সেই আইন রক্ষকরা কি করে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেবে এই নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে জনগণের মধ্যে৷ পাশাপাশি আইনের রক্ষক দের মারধর করে পার পেয়ে যাচ্ছে একের পর এক অভিযুক্তরা তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে সেই বিষয়ে প্রশ্ণ দেখা দিয়েছে৷ পাশাপাশি শুধু পুলিশ নয় বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে একের পর এক সাংবাদিক আক্রান্ত , মামলার পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে সাহস দেখাতে পারছে না৷ অবশেষে এ.এস.আই স্বপন সেন নিগ্রহ কান্ডে অভিযুক্ত উদ্দীপন মজুমদার আটক হলেও দৃষ্টান্তমূলক সাজা পাবে কি এনিয়ে গুঞ্জন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে৷